নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ১৪ এপ্রিল– রাজ্যের সমস্ত শ্রেণীর মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প৷ বর্তমানে এই প্রকল্পে প্রতি মাসে মহিলাদের দেওয়া হয় এক হাজার টাকা৷ আর এটাই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প৷ এই দাবি নিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থীকে জেতানোর জন্য মহা মিছিলের আয়োজন করেন মহিলারা৷ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে শহর বর্ধমানে ওই অভিনব মহা মিছিলের ডাক দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস-এর সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্ত এর নেতৃত্বে অনান্য নেতা নেত্রীরাও যোগ দেন৷ ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ৷
এদিন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ওই মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা আসেন৷ কয়েক হাজার মহিলা রোদ গরম উপেক্ষা করে ভর দুপুরে মিছিলে যোগ দেন৷ সাঁওতালি নৃত্য, মহিলা ঢাকির দল সহ একাধিক আয়োজন ছিল মিছিলে৷ মহিলারা বড়ো বড়ো ‘লক্ষ্মীর ভাঁড়’ হাতে নিয়ে মিছিলে হাঁটেন৷ জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস এর সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্ত বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডারই নয়, একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন৷ তাই নারী শক্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হাতও আমরা শক্ত করতে চাই৷ আর সেই লক্ষ্যে আজ মহিলারা এই মিছিলে সামিল হয়েছেন৷ এদিন সভানেত্রীর সঙ্গে মিছিলে পা মেলান মহিলা নেত্রী তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জেলা তৃনমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার, তৃণমূল নেতা দেবু টুডু, সুভাষ মন্ডল সহ একাধিক নেতা নেত্রীরা৷ ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, বর্ষিয়ান নেতা উত্তম সেনগুপ্ত, মহিলা নেত্রী আল্পনা হালদার৷ এদিন শহরের বড়নীলপুর মোড় থেকে মহামিছিল শুরু হয়ে বিজয়তোরনের সামনে শেষ হয়৷ সেখানে পথসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এদিনই বর্ধমানের টাউনহলে প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চালকদের নিয়ে সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ৷