নিজস্ব প্রতিনিধি – আর দিন চারেকের মধ্যেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন৷ তার আগেই রাজ্য জুড়ে ধরা পড়ছে বিক্ষিপ্ত হিংসার চিত্র৷ এবার বিজেপি – তৃণমূল সংঘাতে উত্তপ্ত হলো নন্দীগ্রাম৷ নন্দীগ্রাম- ২ ব্লকের বিরুলিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ‘হামলা’ বিজেপির৷ শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের৷ এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যঘটনাস্থলে পৌঁছে যান৷ সেখানে গিয়ে দেবাংশু এর সমাধান দিয়ে বলেন, “২০১১ সালে পরিবর্তনের সময় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন যে বদলা নয় বদল চাই৷ তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস বা হিংসায় বিশ্বাসী নয়৷ তাই, যে দিন প্রার্থী ঘোষণা হয়েছিল, সেদিনই আমাদের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে হবে৷ কিন্ত্ত বিজেপির গুন্ডাবাহিনী আজ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে আমাদের পার্টি অফিস দখল করতে আসে৷ আমরা নন্দীগ্রামে ৫০০ জনের কিউআরটি টিম তৈরি করছি৷ যদি কোনও জায়গায় বিজেপির গুন্ডাবাহিনী দ্বারা হামলা হয়, তাহলে সেখানে আমাদের এই টিম ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছবে৷ আগামী দিনে এই বিজেপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে এমন শিক্ষা দিন, যাতে এই গুন্ডাবাহিনী কোনও দলীয় কার্যালয়ের উপর চোখ তুলে তাকাতে না পারে৷ ” তৃণমূলের ব্লক কমিটির এক সদস্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, আজকের ঘটনার পর প্রমাণ হয়ে গেছে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই৷ আজকে নির্লজ্জের মতো আমাদের পার্টি অফিসে তালা মেরে বোঝাতে চাইছে এখানে গণতন্ত্র থাকবে না৷ আমারা এর জবাব রাজনৈতিক পদ্ধতিতে দেবো৷ ”
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের জল গড়িয়েছে বাংলাতেও৷ কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনার দুই অভিযুক্তকে৷ তারপর থেকেই নতুন ভাবে সবুজ ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ৷ সেই ঘটনার রেশ ধরে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির জাবরাভিটায় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই দুজন ধরা পডে়ছে গদ্দারদের জায়গা থেকে৷ ” তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও কটাক্ষের সুরে বলেন, “কাঁথি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন দুজন৷ কে আশ্রয় দিয়েছিলো তাদের সেখানে? তদন্ত হোক৷ ” এরপরই মেদিনীপুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতৃত্বদের মন্তব্য নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, ‘গদ্দারের জায়গা’ বলতে যে শুভেন্দু অধিকারীকেই বোঝানো হয়েছে তা নিয়ে দ্বিমত নেই৷ তাঁর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরুলিয়া এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা৷ এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম৷