• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভূপতিনগর মামলায় এনআইএ আধিকারিকদের আইনি স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি— বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে এনআইএ বিষয়ক মামলা৷ ভূপতিনগরে হামলার ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ আদালতের৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ, ‘এনআইএ-র কোনও আধিকারিককে গ্রেফতার করা যাবে না৷ এনআইএর কোনও আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে৷’ পূর্ব মেদিনীপুরের

নিজস্ব প্রতিনিধি— বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে এনআইএ বিষয়ক মামলা৷ ভূপতিনগরে হামলার ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ আদালতের৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ, ‘এনআইএ-র কোনও আধিকারিককে গ্রেফতার করা যাবে না৷ এনআইএর কোনও আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে৷’ পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের ২০২২ সালের বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে তল্লাশিতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের উপর নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে৷ পাল্টা ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে৷ পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে বুধবার প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ যেখানে এনআইএ অফিসাররাই আক্রান্ত, সেখানে কীভাবে তাঁদের বিরুদ্ধেই গুরুতর ধারায় অভিযোগ- সেই প্রশ্ন করা হয়েছে? শেষ পর্যন্ত এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, ‘ওই আধিকারিকদের এখনই গ্রেফতার করা যাবে না৷ কিন্ত্ত ৭২ ঘন্টা আগে নোটিসের ভিত্তিতে ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ৷’ এদিন আদালতে এনআইএ-র তরফের আইনজীবী দাবি করেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছিল ভূপতিনগরেও তাই হয়েছে৷ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই সেখানে কাজ করতে যায় এনআইএ৷ বিস্ফোরণ কাণ্ডেঅন্তত পাঁচ জন জডি়ত ছিলেন বলে দাবি করে এনআইএ-র, এর মধ্যে চার জনকে তলব করা হয়েছিল দু’বার৷ তারপরও অভিযুক্তরা হাজিরা দেননি৷ তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ উঠে থাকায় তল্লাশিতে গিয়েছিল এনআইএ৷’

এনআইএ-র আইনজীবীর দাবি, গত ৬ এপ্রিল ভোর সাডে় চারটে নাগাদ পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল৷ তারপর তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করা হয়৷ কিন্ত্ত সেই সময় অন্তত ১০০ মহিলা উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি৷ তারাই হামলা চালায় কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপর৷ পাল্টা পুলিশের কাছে ধৃত মনোব্রত জানা এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন৷ যা নিয়ে এ দিন আদালতে এনআইএ-র আইনজীবী দাবি করেছেন- মনোব্রত জানার স্ত্রীর অভিযোগ মিথ্যা৷

এরপরই সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ যাতে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করতে পারে সেই আর্জি জানানো হয়৷ কেন এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশকে বলেন, ‘কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই৷ তাহলে কীভাবে কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা যুক্ত করলেন? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন? কেন অভিযুক্তের স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে পুলিশ এত উদ্বিগ্ন?’ এর প্রতুত্তরে রাজ্যের যুক্তি, ‘কোনও মহিলা যদি এসে ধর্তব্যযুক্ত অভিযোগ করেন থানায়, তাহলে সেটা পুলিশ গ্রহণ করতে বাধ্য৷’ তবে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণের পরবর্তীতে কোন মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কেন গুরতর ধারা যুক্ত করলো? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি৷