• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

ছত্তিশগড়ের রামমন্দিরের দরজা খুলল ২১ বছর পর

রায়পুর, ৯ এপ্রিল –  ছত্তিশগড়ের রামমন্দিরের দরজা খুলল ২১ বছর পর। মাওবাদীদের দাপটে বন্ধ ছিল এই রামমন্দিরের দরজা।  রামমন্দিরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল মাওবাদীরা। অবশেষে রামনবমীর ঠিক আগেই খুলল মন্দিরের দরজা। ছত্তিশগড়ের সুকমার রামমন্দিরে ফের ভিড় জমালেন স্থানীয় ভক্তরা। মন্দির চত্বর ঝাড়পোঁছ করে, বিগ্রহ পরিষ্কার করে, ফের শুরু হল পুজোপাঠ। মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল সুকমার কেরলাপেন্ডা গ্রাম।

রায়পুর, ৯ এপ্রিল –  ছত্তিশগড়ের রামমন্দিরের দরজা খুলল ২১ বছর পর। মাওবাদীদের দাপটে বন্ধ ছিল এই রামমন্দিরের দরজা।  রামমন্দিরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল মাওবাদীরা। অবশেষে রামনবমীর ঠিক আগেই খুলল মন্দিরের দরজা। ছত্তিশগড়ের সুকমার রামমন্দিরে ফের ভিড় জমালেন স্থানীয় ভক্তরা। মন্দির চত্বর ঝাড়পোঁছ করে, বিগ্রহ পরিষ্কার করে, ফের শুরু হল পুজোপাঠ।

মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল সুকমার কেরলাপেন্ডা গ্রাম। এই গ্রামেই রামমন্দির। এই এলাকাতেই একটা সময় উচ্চপর্যায়ের গোপন বৈঠক থেকে শুরু করে সুরক্ষিত করিডর গড়ে তোলা হয়েছিল। মাওবাদীদের সমস্ত গোপন কার্যকলাপের্ কেন্দ্রস্থল ছিল এই মন্দির সংলগ্ন এলাকা। সেই জন্যই এক সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় কেরলাপেন্ডার রামমন্দির। যে মন্দির ঘিরে জমজমাট মেলা বসত, সেই মন্দিরের ধারে পাশে না যাওয়ার নির্দেশ দেয় মাওবাদীরা। ২০০৩ সাল থেকে গ্রামের কেউই ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। কেবল একজন গ্রামবাসী প্রতিদিন মন্দিরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে যেতেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই গ্রাম থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ৭৬ জন জওয়ান খুন হন। ২০২১ সালেও রক্তাক্ত হয়েছিল গ্রাম সংলগ্ন এলাকা।

তবে কিছুদিন হল ছবিটা বদলেছে। জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বসে সিআরপিএফ ক্যাম্প। নিয়ম করে এলাকায় টহল দিতে শুরু করেন জওয়ানরা। সেই সময় বন্ধ মন্দিরটি তাঁদের নজরে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন মন্দির বন্ধের ইতিহাস। ২০০৩ সালে এই মন্দির ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল মাওবাদীরা, এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, সিআরপিএফ ক্যাম্প তৈরির আগে গ্রামের বাইরে আর কারও সঙ্গে কথা বলতেন না ওই এলাকার মানুষ।

সিআরপিএফ জওয়ানদের মতে, পাথরে তৈরি মন্দিরটি অন্ততপক্ষে  ২০০ বছরের পুরনো।  সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছে মন্দিরটি ফের খুলে দেওয়ার আবেদন জানান কেরলাপেন্ডার বাসিন্দারা। ২১ বছর পর গত শনিবার ফের খোলা হয় মন্দিরের দরজা। মন্দিরের ভিতরে পাথরে তৈরি ভগবান রাম, লক্ষ্মণ ও মা সীতার বিগ্রহ রয়েছে। সেগুলো সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে  শুরু হয় পুজো। আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে বিরাট পুজোর আয়োজন করতে চলেছেন গ্রামবাসীরা।