বাসুদেব ধর, ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে কয়েক দফা হামলা, দুটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের তিন শাখা লুটের চারদিন পর ব্যাপক সমন্বিত অভিযান শুরু হয়েছে৷ অভিযানে সাঁজোয়া যান ব্যবহৃত হচ্ছে৷ গতকাল ভোরে এই অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম শীর্ষ নেতা চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এছাড়া এক নারীকর্মীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
সমন্বিত অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শনে রোববার সকালে বান্দরবান আসেন সোবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ৷ তিনি বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সমন্বিত অভিযান শুরু হয়েছে৷ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে৷ তিনি বলেন, সরকারের সমন্বিত কৌশলে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় সেনাবহিনী দায়িত্ব পালন করছে৷ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), আনসার ও পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনী সমন্বয় করে অভিযান চলছে৷ তিনি বলেন, আগে এক অভিযানে কেএনএফকে সব ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত শান্তি আলোচনা শুরু হলে তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে৷
অভিযানে বান্দরবান জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে শ্যারণপাড়ায় রোববার ভোরেই ধরা পড়েন চেওসিম বম৷ তিনি কেএনএফের বান্দরবান সদর উপজেলা ও রোয়াংছড়ি নিয়ে গঠিত অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী বলে জানা গেছে৷ প্রায় আধঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির ভেতরের কুঠুরির মতো এক অবস্থান থেকে তাকে পাওয়া যায়৷ এই বাড়ি থেকে দুটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে৷
গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন ভাননুন নুয়াম বম, থানচির সিমতলাংপিপাড়ার লালমুন বমের মেয়ে জেমিনিউ বম ও ছেলে আমে লমচেউ বম৷ এছাড়া ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ির ড্রাইভারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট, পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে৷ পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করা হলেও অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি৷