নিজস্ব প্রতিনিধি— গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো চালু হওয়ার দিন কুডি় পার৷ হিসাব বলছে, গডে় হাজার পঞ্চাশেক যাত্রী কমেছে বাসে৷ কম দূরত্বের বাসরুটের যাত্রীরা বাস ছেডে় মেট্রো ধরছেন৷ কিন্ত্ত কমেনি ফেরির যাত্রী৷ মূলত, বিবদীবাগ, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিটগামী লোকজনের একটা অংশ মেট্রোকে বেছেছেন৷ তাই হাওড়া স্টেশনে লোকাল থেকে নেমে বাদিকে বাস ধরতে না গিয়ে এখন ডানদিকে মেট্রো ধরতে ছুটছেন তাঁরা৷ কিন্ত্ত যাঁরা ট্রেন থেকে নেমে সোজা এসে ফেরি ধরতেন, হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চালুর দিন কুডি় পরও এখনও ফেরির যাত্রী সেভাবে কমেনি৷ যেটা কমেছে, প্রত্যেক গরমে সেই যাত্রী এমনিতেই কমে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা৷ পরিবহণ দপ্তর নিজেরা হাওড়া-শিপিং, হাওড়া-ফেয়ারলি ফেরি পরিচালনা করে৷ তাছাড়া হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির পরিচালনায় হাওড়া থেকে আর্মেনিয়ান, চাঁদপাল, বাবুঘাট, কুঠিঘাট, বাগবাজার-সহ মোট ৮টি রুটে ফেরি চলাচল করে৷ ছুটির দিন বাদ দিয়ে এই সব রুটে গডে় ৫০-৫৫ হাজার যাত্রী হয়৷ পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, সেই যাত্রী কিছুটা কমেছে ঠিকই৷ কিন্ত্ত বাসে যে পরিমাণ কমেছে, সে তুলনায় কিছুই নয়৷
তাঁদের কথায়, হাওড়ায় ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে যাত্রীদের৷ অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে তবে ট্রেন ধরা৷ সঙ্গে টিকিটের জন্য লাইন৷ কিন্ত্ত ফেরিতে সে সমস্যা নেই৷ তাছাড়া মূলত স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে যে সমস্ত অফিস রয়েছে, সেখানকার কর্মীরাই ফেরিতে চডে় অফিস যাতায়াত করতেন৷ মেট্রো হওয়ায় তাঁদের কোনও সুবিধা হয়নি৷ কারণ হাওড়ার পর মহাকরণ স্টেশন৷ মানে বিবাদী বাগে নিয়ে নামাবে মেট্রো৷ সেক্ষেত্রে তাঁদের কোনও লাভ হবে না৷ উলটে হাঁটতে হবে৷ তাই মেট্রো চালু হলেও পুরনো অভ্যাস তাঁরা বদলাননি৷ ফেরিতে চডে়ই যাতায়াত করছেন৷ পাশাপাশি মেট্রোর ভাড়া যেখানে ১০ টাকা৷ সেখানে ফেরিতে গঙ্গাপার ৬ টাকায়৷ একইসঙ্গে কোনও ঝক্কি নেই, নয়া মেট্রোর দিক বুঝতে গিয়েই কার্যত হামাগুডি় খাওয়ার জোগাড় হচ্ছে বহু যাত্রীর৷ ফলে তাঁরা মেট্রো এডি়য়েই চলছেন৷ যেকারণে মূলত যাত্রী কমেছে বাসে৷ সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বাসেও উল্লেখযোগ্যভাবে যাত্রী কমেছে৷ যেগুলো হাওড়া ময়দানের দিক থেকে এসপ্ল্যানেড বা পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত আসে, সেগুলোর যাত্রীতে ভালোরকম প্রভাব পডে়ছে৷ তবে বাসমালিকরা জানাচ্ছেন, এখনই তাঁরা রুট বদলের কথা ভাবছেন না৷