ওয়াশিংটন, ৬ এপ্রিল – ফের আমেরিকায় ভারতীয় ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার নিউ ইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, ওহাইও প্রদেশের ক্লিভল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে উমা সত্য সাই গাড্ডের। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। গত চারমাসে এই নিয়ে দশম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ওহিও-র ক্লিভল্যান্ডে তিনি পড়তে গিয়েছিলেন।
গত মাসেই ওহাইও-র ক্লিভল্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ভারতীয় পড়ুয়া আবদুল মহম্মদ। মুক্তিপণ চেয়ে ক্রমাগত ফোন করা হয় পরিবারকে। এখনও তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। এরই মধ্যে ক্লিভল্যান্ডে মৃত্যু হল ভারতীয় ছাত্রের । এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, ‘ক্লিভল্যান্ডে ভারতীয় ছাত্র উমা সত্য সাই গাড্ডের আকস্মিত মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে আমরা ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উমার মরদেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এ বছরের প্রথম থেকেই মার্কিন দেশে মৃত্যু হয়েছে একের পর এক ভারতীয় ছাত্রের। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই সেখানে প্রাণ হারান চার জন পড়ুয়া। তখনই আমেরিকার মাটিতে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। এরপরই গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ‘জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে হিংসার কোনও যুক্তি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসব বরদাস্ত করা হবে না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর প্রশাসন কঠোর পরিশ্রম করছেন। যে কোনও রকম হিংসা রুখতে চেষ্টা করছি। যারা এই হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদেরকেও বার্তা দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেই উদ্যোগ কোথায় ? কোথায় নিরাপত্তা?