দিল্লি, ৬ এপ্রিল – সদ্যোজাতদের কালোবাজারি। এমনই চাঞ্চল্যকর শিশু পাচার চক্রের সন্ধান মিলল দিল্লিতে। পণ্যের মতো চলছে সদ্যোজাত কেনাবেচা। শিশুদের এই কেনাবেচায় এক একজন শিশুর দাম ধার্য হয় ৫ লক্ষ টাকা। একের পর এক শিশু হারানোর অভিযোগের তদন্তে নেমে দিল্লিতে এই বড়সড় পাচার চক্রের সন্ধান পেল সিবিআই। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে। তদন্তকারীদের দাবি, গত এক মাসে অন্তত ১০টি শিশুকে পাচার করেছে অভিযুক্তরা।
গত কিছুদিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ আসছিল তদন্তকারীদের কাছে। তার ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির দ্বারকা, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, রোহিণী-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশিতে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দিল্লির কেশবপুরম এলাকায় একটি বাড়ি থেকে ৩ সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে এই পাচারচক্রের জাল কতখানি গভীরে ছড়িয়ে।
জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ডবয়-সহ হাসপাতালগুলিতে কর্মরত বহু মহিলা যুক্ত রয়েছেন এই পাচারচক্রে। ইতিমধ্যেই ৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের জেরা করে তদন্তকারীদের দাবি, সদ্যোজাতদের নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেছিল অভিযুক্তরা। এদের কারও উপর দায়িত্ব থাকত শিশু চুরি করার , কারও দায়িত্ব ছিল গ্রাহক খুঁজে আনা। শিশুদের দাম ধার্য্য করা হয়েছিল ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ।
ধৃতদের জেরা করে সিবিআইয়ের দাবি, শুধু দিল্লি নয়, এই পাচার চক্র ছড়িয়ে রয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও। ৭ থেকে ৮ টি শিশুকে দিল্লি থেকে ভিনরাজ্যেও পাচার করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা-সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পাচারচক্রের সঙ্গে বহু হাসপাতাল যুক্ত রয়েছে বলেও অনুমান তদন্তকারীদের। গোটা ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মোট আট জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে দু’টি সদ্যোজাতও। এই দুই সদ্যোজাতকে কেশবপুরম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই শিশুগুলিকে পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।