• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শিশুদের জন্মের নথিভুক্তিকরণে নয়া নিয়ম 

দিল্লি, ৫ এপ্রিল –  শিশুদের জন্মের নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জন্ম নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে এবার থেকে ধর্মেরও উল্লেখ করতে হবে। শিশুর জন্মের নথিভুক্তিকরণের সময় আলাদা আলাদা ভাবে বাবা ও মায়ের ধর্ম উল্লেখ করতে হবে । এতদিন কেবল পরিবারের ধর্মের উল্লেখ করলেই চলত। কিন্তু এবার নয়া নিয়মে বাধ্যতামূলক করা হবে বাবা ও মায়ের ধর্মের পৃথক উল্লেখ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের

দিল্লি, ৫ এপ্রিল –  শিশুদের জন্মের নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জন্ম নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে এবার থেকে ধর্মেরও উল্লেখ করতে হবে। শিশুর জন্মের নথিভুক্তিকরণের সময় আলাদা আলাদা ভাবে বাবা ও মায়ের ধর্ম উল্লেখ করতে হবে । এতদিন কেবল পরিবারের ধর্মের উল্লেখ করলেই চলত। কিন্তু এবার নয়া নিয়মে বাধ্যতামূলক করা হবে বাবা ও মায়ের ধর্মের পৃথক উল্লেখ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি, দ্রুত এই নিয়ম লাগু করতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।এই তথ্যের ভিত্তিতেই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার, ভোটার তালিকা, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সে তথ্য আপডেট করা হবে, এমনটাই ভাবনা-চিন্তা সরকারের।
 

শিশুর জন্মের নথিভুক্তিকরণের নিয়মে বড় পরিবর্তন। এবার থেকে মা ও বাবার  ধর্ম আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্য প্রশাসনগুলিকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। সরকারি ভাবে এই নয়া নিয়ম রাজ্য সরকারগুলোর কাছে গৃহীত হওয়ার পরই নতুন নিয়মের বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, এতদিন কেবল পরিবারের ধর্মের উল্লেখ করতে হত। তবে এবার ‘ফর্ম নং ১- জন্মের রিপোর্ট’-এ যেখানে শিশুর ধর্মের উল্লেখ করতে হত সেখানে আলাদা করে বাবা ও মায়ের ধর্মের জন্য দুটি জায়গা থাকবে। দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রেও একই পরিবর্তন করা হবে।

২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সংসদে পাস হয় জন্ম-মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ সংশোধন আইন। এই আইন অনুযায়ী, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য ভাণ্ডার হিসাবে  কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাখা হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল crsorgi.gov.in এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেজিস্টার করাতে হবে। এই পোর্টাল থেকে পাওয়া ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে।ডিজিটাল এই জন্ম শংসাপত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নানা পরিষেবার ক্ষেত্রে একক নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রারার জেনারেল অব ইন্ডিয়া সব রাজ্য সরকারগুলিকে এ বিষয়ে অবহিত করবে। রাজ্য সরকারগুলি এই নতুন নিয়ম সরকারিভাবে গ্রহণ করার পরই, তা বাস্তবায়ন সম্ভব।

২০২৩ সালের আগস্টে সংসদে পাশ হয়েছিল জন্ম-মৃত্যুর নথিভুক্তকরণ (সংশোধন) আইন। এবার থেকে জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত ডেটাবেস বা তথ্যপঞ্জি কেন্দ্রের কাছে জমা থাকবে। এবং সম্ভবত তা ব্যবহার করা হতে পারে এনপিআর আপডেট করার সময়। এমনকী, এই তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকা, আধার নম্বর, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, গাড়ির চালকের লাইসেন্স ইত্যাদিও আপডেট করা হতে পারে।