মুম্বই, ৪ এপ্রিল– আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তের সময়সীমা বারবার বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি৷ সর্বশেষ সময়সীমা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে৷ কংগ্রেসের আশা, সেবি আদালতের কাছে আর বাড়তি সময় চাইবে না এবং তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে৷ এই প্রসঙ্গে নির্বাচনী বন্ডের ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্কের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কটাক্ষও জুডে় দিয়েছে তারা৷ সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এটি কংগ্রেসের চাপ বাড়ানোর কৌশল৷
নির্বাচনী বন্ডের সবিস্তার তথ্য প্রকাশের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক যে সময় চেয়েছিল তাতে সাধারণ নির্বাচন পার হয়ে যাওয়ার কথা৷ যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি মঞ্জুর করেনি৷ উল্টে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটিকে তুলোধনা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই ঘটনায় স্টেট ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলি৷ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘আরও এক স্টেট ব্যাঙ্ক হওয়া সেবির উচিত হবে না৷ পুণ্যাত্মাদের গায়ে হাত দেওয়ার ব্যাপারে তারা (স্টেট ব্যাঙ্ক) বেজায় ভীত৷’
আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ করেছিল, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে শেয়ারের দর বাডি়য়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠী৷ এই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে সেবি৷ যদিও একাধিক বার তদন্তের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে তারা৷ রমেশ লিখেছেন, ‘২০২৩ সালের ১৪ অগস্টের মধ্যে সেবির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল৷ তারা একাধিক বার সময় বাড়ানোর আর্জি জানানোর পরে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়৷ আমাদের আশা, সেবি আর বাড়তি সময় চেয়ে নির্বাচন পার করতে চাইবে না৷’