• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

জিএসটি আদায়ে মার্চেই ১.৭৮ লক্ষ কোটির গণ্ডি পেরোল ভারত

দিল্লি, ৪ এপ্রিল— একেই বলে চোখ ধাঁধানো উন্নতি৷ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে দৌড়চ্ছে ভারত৷ তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে আমেরিকার মতো বিত্তবান দেশগুলিও৷ পিছনে পিছনে তাবড় তাবড় সব প্রথম বিশ্বের দেশ৷ এরইমধ্যে জিএসটি আদয়ে নতুন পালন ভারতের মুকুটে৷ ২০১৭ সালে বড় কর সংস্কার হিসাবে দেশে ‘পণ্য ও পরিষেবা কর’ (জিএসটি) ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত,

দিল্লি, ৪ এপ্রিল— একেই বলে চোখ ধাঁধানো উন্নতি৷ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে দৌড়চ্ছে ভারত৷ তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে আমেরিকার মতো বিত্তবান দেশগুলিও৷ পিছনে পিছনে তাবড় তাবড় সব প্রথম বিশ্বের দেশ৷ এরইমধ্যে জিএসটি আদয়ে নতুন পালন ভারতের মুকুটে৷ ২০১৭ সালে বড় কর সংস্কার হিসাবে দেশে ‘পণ্য ও পরিষেবা কর’ (জিএসটি) ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত, আদৌও এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হবে, বা কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়৷ কিন্ত্ত ৭ বছরেরও কম সময়ে, GST আদায় পরোক্ষ কর সংগ্রহের অনেক পুরনো রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে৷ তৈরি হয়েছে নিত্যনতুন রেকর্ড৷ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ছুঁয়ে ফেলেছে ১.৭৮ লক্ষ কোটির গণ্ডি৷ আয়ের যে অনুমান করেছিল সরকার তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই অঙ্ক৷ তা নিয়েই শোরগোল পডে় গিয়েছে প্রশাসনিক মহলের অন্দরে৷

২০১৬ সালের নোট বাতিলের পরপরই দেশে জিএসটি শুরু হয়েছিল৷ এটা যে দেশের অর্থনীতির জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এদিকে এরইমধ্যে আবার গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও থাবা বসিয়েছিল করোনা মহামারি৷ করোনাকালের মন্দার গ্রাসের করার ছায়া পডে়ছিল দেশেও৷ টালমাটাল হয়ে গিয়েছিল অর্থনীতি৷ কিন্ত্ত, করোনা পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত ঘুরে দাঁডি়য়েছে দেশের অর্থনীতি৷ শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি একেবারে বুল রান দেখা গিয়েছে৷ ভারতীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে বিশ্বের একের পর এক শক্তিধর দেশের৷

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এর চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার আগরওয়াল জানান, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে, দেশে জিএসটি থেকে ২০.১৮ লক্ষ কোটি টাকার মোট কর সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এটি আগের অর্থবছরের কর সংগ্রহের চেয়ে ১১.৭ শতাংশ বেশি৷ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ সেখানে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাডি়য়ে ১৯.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছিল সরকার৷ যেখানে জিএসটি, শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক সহ পরোক্ষ করের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৮৪ লক্ষ কোটি টাকায় কমিয়ে আনা হয়৷