নিজস্ব প্রতিনিধি– উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাত জেগে পাহারা দিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির নির্বাচনী প্রচার অভিযানে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকাররের সিএএ প্রসঙ্গে মমতা জানিয়ে দিলেন রাজনৈতিক দুর্যোগেও তিনিই পাহারাদার৷ এই বাংলার মাটির লোক৷ মমতা বললেন, আমি জমিদার নই, দিল্লি থেকে এসে রাজনীতি করি না৷ এদিনই বিকেলে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা ছিল৷ পশ্চিমবঙ্গে আগামী চোদ্দটি জনসভা করার সূচি রয়েছে মোদির৷ মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ ছিল নির্বাচন এলে নরেন্দ্র মোদির জনসভাকে নিশানা করেই৷
বৃহ্স্পতিবার জলপাইগুড়ির মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের মাঠ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন কেন্দ্রের নেতাদের বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আত্মপ্রচারে ব্যস্ত থাকেন৷ আর কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা এনআইএ, আয়কর দফতর, সিআইএসএফকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷
দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে৷ মমতা এদিন বলেন, সিএএ আসলে এনআরসি-এর প্রথম ধাপ৷ কেন্দ্রের কথা শুনে চললে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যেতে হবে৷ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলায় এনআরসি, সিএএ করতে দেব না৷
প্রসঙ্গত সিএএ কার্যকর হওয়ার খবর শুনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার খবর নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ অনেকেই বলছেন, সিএএ চালু হলে তাঁকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় পাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি৷ সেই ভয় থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷ জলপাইগুড়ির সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, কেউ ভয় পাবেন না৷
কোচবিহারের সভার মতো জলপাইগুড়ির সভা থেকেও মমতা মন্তব্য করেন, বিজেপির একটাই নীতি, এক দেশ-এক দল তৈরি করা৷ তাই তাদের যেন কেউ ভরসা না করে৷ কেন্দ্রীয় সরকোরের অতি সক্রিয়তা নিয়েও এদিন সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, বিরোধীদের বারবার এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ এমনকী ভোট দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে৷ ভোটের মধ্যে মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভয় দেখানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷