• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ক্যানসারে আক্রান্ত, তাই লোকসভা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না, পোস্ট করে জানালেন সুশীল মোদি

দিল্লি, ৩ এপ্রিল – ক্যানসারে আক্রান্ত বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি। বুধবার তিনি নিজেই এ কথা প্রকাশ্যে আনেন। এদিন সুশীল কুমার মোদি ঘোষণা করেন তিনি লোকসভা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেন সুশীল মোদি। তিনি লেখেন, ‘আমার মনে  হয়েছে মানুষকে জানানোর সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমার

দিল্লি, ৩ এপ্রিল – ক্যানসারে আক্রান্ত বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি। বুধবার তিনি নিজেই এ কথা প্রকাশ্যে আনেন। এদিন সুশীল কুমার মোদি ঘোষণা করেন তিনি লোকসভা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেন সুশীল মোদি। তিনি লেখেন, ‘আমার মনে  হয়েছে মানুষকে জানানোর সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়েছি। দেশের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব এবং দেশের জন্যই নিয়োজিত থাকব। বিহার এবং ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’

বিহারের বিজেপির প্রথম সারির মুখ সুশীল কুমার মোদি ক্যান্সারে আক্রান্ত। মাস ছয়েক আগে তাঁর রোগ ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু ভোটে প্রচার করার মতো সুস্থ তিনি নন। বুধবার তাই এক্স হ্যান্ডেলে অসুস্থতার কথা জানিয়ে প্রবীণ নেতা নিজের অসুস্থতার কথা লেখেন।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিহারে রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করার পর সেই তালিকায় সুশীল মোদির নাম ছিল না। তখন থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয় বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল। বুধবারই  তাঁর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয় । তাঁকে নতুন করে টিকিট দেয়নি দল। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। 

প্রসঙ্গত, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিহার প্রশাসনের মন্ত্রী ছিলেন সুশীল কুমার মোদি। সামলেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। পরে নীতীশ কুমার এনডিএ-তে ফিরলে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি নতুন করে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। এর পর তিনি রামবিলাস পাসোয়ানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিহারের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এহেন ব্যক্তিত্ব এবার নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানালেন সোশাল মিডিয়ায়।

দলের  প্রতি অবদান অনেক, কিন্তু সেই তুলনায় তাঁর প্রাপ্তি খুবই কম বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। মোদি-শাহের জমানায় তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব হ্রাস করা  বলে মনে করে দলের একাংশ। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো ছিল তার প্রথম পদক্ষেপ। আবার নানা সময়ে দলের নীতি, সিদ্ধান্তের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সর্বশেষ সংযোজন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। সংসদের একটি কমিটির বৈঠকে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, এ দেশের আদিবাসী, জনজাতিদের বিয়ে থেকে পারিবারিক জীবনযাত্রায় নিজস্ব নিয়ম, বিধি চালু আছে। যা বাতিল করা হলে তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। তবে লোকসভা ভোটে সুশীল মোদির অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে দলের একাংশ।