• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলার বাম ইকোসিস্টেম ধ্বংস হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করাই নতুন চ্যালেঞ্জ : সেলিম

কেরলে সম্ভব হলেও, বঙ্গে নয় কেন? নিজস্ব প্রতিনিধি— লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ প্রচার চলছে জোরকদমে৷ কিন্ত্ত পশ্চিমবঙ্গে এখনও বাম-কংগ্রেস ৪২টি লোকসভার প্রতিটি আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি৷ রাজ্যের শাসক দল ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে৷ পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ফলাফল কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা সর্বত্র৷ লোকসভা নির্বাচনে

কেরলে সম্ভব হলেও, বঙ্গে নয় কেন?
নিজস্ব প্রতিনিধি— লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ প্রচার চলছে জোরকদমে৷ কিন্ত্ত পশ্চিমবঙ্গে এখনও বাম-কংগ্রেস ৪২টি লোকসভার প্রতিটি আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি৷ রাজ্যের শাসক দল ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে৷

পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ফলাফল কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা সর্বত্র৷ লোকসভা নির্বাচনে বামেরা কি পারবে খাতা খুলতে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নিজেও প্রার্থী হয়েছেন লোকসভা আসনে৷ ইতিমধ্যে বামেরা চার দফায় ২৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তরুণ মুখের উপরেই ভরসা রাখছে বামেরা৷ বামেদের সাংগঠনিক শক্তি এখন যথেষ্ট ক্ষয়িষ্ণু৷ ভোটব্যাঙ্কে রক্তক্ষরণ কাটিয়ে বামেরা কি আদৌ পারবে লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এবার বামেদের ভোট গতবারের তুলনায় বাড়বে৷ কিন্ত্ত প্রশ্ন একটাই, কেরলে যা সম্ভব, বাংলায় তা নয় কেন? পাঁচ বছর পরপর এ রাজ্যে সরকার বদলায়৷ পরপর দু’বার সরকার গড়ে কেরলে রেকর্ড গড়েছে সিপিএম৷ কেরলে সিপিএম হেরে গিয়েও রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে৷ কিন্ত্ত বঙ্গ সিপিএম পারে না কেন? এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে খোলামেলা জবাব দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ তিনি সাফ জানালেন, মানুষ চাইলে ২০২৬-এই বামেরা ক্ষমতায় ফিরবে৷ কারণ, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বামেরা একটিও আসন পায়নি৷ এর থেকেই মানুষ বুঝতে পারছে বাংলার ভবিষ্যৎ ঠিক কোথায় দাঁড়িয়েছে৷ সে কারণেই মানুষ তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ফের বামেদেরকেই বেছে নেবেন৷ বামপন্থার পুনর্জাগরণ ছাড়া বাংলার পুনর্জাগরণ কোনও মতেই সম্ভব নয়৷ শুধু সিপিএম নয়, সার্বিকভাবে বামমনস্ক মানুষদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷

কেরলে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা সারা দেশের মধ্যে ৫০ শতাংশ৷ স্বাভাবিকভাবে ওই রাজ্যকে সিপিএমের দুর্গ বললেও অতু্যক্তি করা হবে না৷ দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম৷ পাঁচ বছর অন্তর ওই রাজ্যে পালাবদল হয়৷ ওই রাজ্যেও সিপিএমকে ক্ষমতাচু্যত হতে হয়েছে৷ সাংগঠনিকভাবে কেরল সিপিএম অনেক রাজ্যের সিপিএমের চেয়ে এগিয়ে৷ কিন্ত্ত দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ তা কাটিয়ে ফের কেরলে সিপিএম ক্ষমতায় ফিরতে পারলেও পশ্চিমবঙ্গে কেন সম্ভব হচ্ছে না? যেমনভাবে সম্ভব হল না ত্রিপুরাতে৷ এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘অনেকে ভেবেছিল বাংলায় সিপিএম শেষ হচ্ছে৷ কিন্ত্ত আজকে বামমনস্ক মানুষ, যিনি হয়তো সিপিএমকে সমর্থন করেন না, তিনিও বুঝতে পারছেন আসলে বাংলার বাম ইকো সিস্টেম (বাস্ত্ততন্ত্র) ধ্বংস হয়েছে৷ তাকে পুনরুদ্ধার করাটাই আমাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ৷’