দিল্লি, ১ এপ্রিল – সোমবার থেকে দিল্লির তিহার জেলের অন্যতম সদস্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে আপাতত আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা। জেলবন্দি অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রোজ কী করতে পারবেন এবং কী কী করতে পারবেন না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
তিহার জেলের সময়বাঁধা নিয়মকানুন এবার মেনে চলতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও। সকাল সাড়ে ৬টায় ওঠা, প্রাতঃরাশে দেওয়া হবে চা এবং পাউরুটি। এরপরেই স্নান সেরে নিতে হবে। স্নানের পর কেজরিওয়াল ঘণ্টা দুয়েক সময় পাবেন তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। আর যদি আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন থাকে, তবে যেতে পারবেন তিনি।
দুপুরের খাবার দেওয়া হবে সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। থাকবে ভাত অথবা পাঁচ পিস রুটি, ডাল এবং একটা সবজি। দুপুর থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত কয়েদিদের সেলে বন্ধ করে রাখা হয়। সাড়ে তিনটের সময় আবার এক কাপ চা এবং দু’টি বিস্কুট খেতে দেওয়া হবে কেজরিওয়ালকে। বিকেল ৪ টের সময় আবার নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় দিয়ে দেওয়া হবে রাতের খাবার। রাতের খাবারের মেনুতেও একই পদ থাকবে। তারপর সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফের সেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।
মোটামুটি অন্য বন্দিদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের যা যা বিধি-নিষেধ আছে, তা-ই বহাল থাকবে। তবে তিনি কিছু বাড়তি সুযোগও পাবেন। যেমন, তাঁর সেলে টিভির ব্যবস্থা করা থাকবে। ১৮ থেকে ২০টি চ্যানেল দেখতে পাবেন। যার মধ্যে খবর, বিনোদন এবং খেলার চ্যানেল থাকবে। তা ছাড়া তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে সারা দিনই চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীর ব্যবস্থা থাকবে। বন্দি অবস্থায় তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ডায়াবেটিস থাকার কারণে এদিন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তাঁর আইনজীবী বিশেষ খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থার অনুমতি চান। এর আগে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল ইডি হেফাজতে থাকাকালীন অরবিন্দের স্বাস্থ্যের অবনতি, সুগারের মাত্রা নেমে যাওয়ার মতো অভিযোগ তুলেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহে দুবার দেখা করার সুযোগ পাবেন। তবে জেলে তিনি কাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সেলে কেজরিওয়াল তিনটি বই যাতে সঙ্গে রাখতে পারেন তার আবেদন জানানো হয়েছে। বইগুলি হল, ভগবদ্গীতা, রামায়ণ এবং সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর লেখা প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কিত একটি বই।