• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফের মূল্যবৃদ্ধির কোপে ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধ

দিল্লি, ১ এপ্রিল– ভোটের মুখে ফের জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ায় মাথায় হাত আম জনতার৷ মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধের নাম৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল সোমবার থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ প্রায় ৮০০ রকমের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ এই তালিকায় যে ওষুধগুলি রয়েছে তা সাধারণত এখনকার সময়ে ভীষণ জরুরী হিসেবেই

দিল্লি, ১ এপ্রিল– ভোটের মুখে ফের জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ায় মাথায় হাত আম জনতার৷ মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধের নাম৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল সোমবার থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ প্রায় ৮০০ রকমের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ এই তালিকায় যে ওষুধগুলি রয়েছে তা সাধারণত এখনকার সময়ে ভীষণ জরুরী হিসেবেই ধরা হয়৷ যেমন ডায়াবেটিস ও প্রেশারের মতো জীবনদায়ী ওষুধ৷ কেন্দ্রের দফায় দফায় এভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় প্রবীণ নাগরিকরা৷
এনপিপিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, পেনকিলার (ব্যাথা-যন্ত্রণার ওষুধ), ভিটামিন, রক্তচাপ-সুগার-কোলেস্টেরল এবং জ্বর-সর্দি-কাশির মত প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে৷ সংস্থার দাবি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনেই ওষুধের নতুন দাম নির্ধারিত করা হয়েছে৷ যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ওষুধের দাম অনেক কম বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে৷ এনপিপিএ জানিয়েছে, জরুরি ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধের দাম ০.০০৫৫ শতাংশ বাড়ছে৷ উল্লেখ্য, গত বছরেই বহু ওষুধের দাম অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ২০২২ সালে দাম বেডে়ছিল ১০ শতাংশ৷
এদিকে ফের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার৷ অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক মদতেই এভাবে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েই চলেছে ওষুধ সংস্থাগুলি৷ দিনকয়েক আগেই ফার্মা সংস্থাগুলি শাসকদল বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানা যায়৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই বিপুল টাকা তুলতে ওষুধের দাম বাড়ানোর সুযোগ যে করে দেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য৷ যদিও একটি এনজিও কর্তার দাবি, এবছর ওষুধের দাম তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে৷ যদিও বাস্তবে যে মোটেই এমন হচ্ছে না তা সাম্প্রতিককালে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ব্লাড সুগার, প্রেশার, জ্বরের ওষুধের দাম অন্তত ১৫ শতাংশ বেডে় যাওয়াতেই স্পষ্ট৷ ওষুধের দাম বাডি়য়ে অসুস্থের পরিবারকে কার্যত কপর্দকহীন করে দেওয়া নিয়ে ফার্মা কোম্পানি ও কেন্দ্রের উপর স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তর ক্ষোভ বাড়ছে৷