• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

শরিকদের ইচ্ছেতেই আসন সমঝোতা কংগ্রেসের

বিহার, মহারাষ্ট্র থেকে তামিলনাড়ু, হাতছাড়া পছন্দের বহু আসন দিল্লি, ৩০ মার্চ– কংগ্রেসের এখন যা অবস্থা তাতে টিকে থাকতে শরিকদের ইচ্ছেই সব৷ বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের পর মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে৷ এই সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কংগ্রেসকে নিজের পছন্দের আসন ছেড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হয়েছে৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়

বিহার, মহারাষ্ট্র থেকে তামিলনাড়ু, হাতছাড়া পছন্দের বহু আসন

দিল্লি, ৩০ মার্চ– কংগ্রেসের এখন যা অবস্থা তাতে টিকে থাকতে শরিকদের ইচ্ছেই সব৷ বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের পর মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে৷ এই সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কংগ্রেসকে নিজের পছন্দের আসন ছেড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হয়েছে৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই সব রাজ্যেই কংগ্রেসকে এবার শরিক দলের বড় ধরনের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে পছন্দের আসন আদায় করতে৷

কংগ্রেসের সমঝোতার সবথেকে বড় উদাহরণ বিহার৷ এখানে অনেক চেষ্টা করেও আরজেডির কাছ থেকে উত্তর বিহারের পূর্ণিয়া আসনটি আদায় করতে পারেনি হাত শিবির৷

সেখানে কংগ্রেস স্থানীয় বাহুবলী রাজীব রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদবকে প্রাথী করতে চেয়েছিল৷ পাপ্পু সম্প্রতি তাঁর জন অধিকার পার্টিকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্ত্ত লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর আপত্তিতে ওই আসন ছাড়তে হয়েছে৷ ফলে ভূমিপুত্র পাপ্পুর এই প্রথম পূর্ণিয়ায় প্রার্থী হওয়া হচ্ছে না৷

বিহারে কংগ্রেসের আরও দুই পছন্দের আসন এবার হাতছাড়া হয়েছে৷ বেগুসরাই আসনে কংগ্রেস এবার কানহাইয়া কুমারকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল৷ গতবার ওই আসন থেকে কানহাইয়া সিপিআইয়ের টিকিটে লড়াই করেন৷ পরে তিনি কংগ্রেস যোগ দে৷

এইভাবে বিহারে কংগ্রেসকে মোট পাঁচটি আসনে প্রার্থী বদল করতে হয়েছে৷ অনেক দর কষাকষির পর আরজেডি কংগ্রেসকে নয়টি আসন ছাড়তে রাজি হয়৷ শুধু আরজেডি নয় বাম দলগুলিও কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তোলে বিহারে৷ তাদের বক্তব্য, হাত শিবির একাধিক আসন দাবি করে৷ কিন্ত্ত আন্তরিকতার সঙ্গে লড়াই করে না৷

একই চিত্র মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে৷ দক্ষিণের রাজ্যটিতে কংগ্রেসের গতবারের ডিনটি জেতা আসন এবার কেটে দিয়েছে শরিক ডিএমকে৷ কংগ্রেস হাই কমান্ড সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলেও বরফ গলাতে সক্ষম হয়নি৷ দীর্ঘ আলোচনার পর কংগ্রেস তিরুনেলভেলি,৷ কুদ্দালোর এবং মালিদুথিরাই আসন তিনটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়৷ পরিবর্তে থেনি, অরণি ও তিরুচিরাপল্লি আসনটি কংগ্রেসকে দিয়েছে ডিএমকে৷

মহারাষ্ট্রে আবার শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে আসন রফাতেও কংগ্রসকেই আপস করতে হয়েছে বেশি৷ মুম্বইয়ের দুটি আসন এবার শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী কংগ্রেসের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছে৷ শরিক দলের বক্তব্য ওই আসন দুটি জেতার অবস্থায় নেই কংগ্রেস৷ তার একটির সাংসদ ছিলেন মুম্বই কংগ্রেসের মুখ সঞ্জয় নিরুপম৷

আসন বোঝাপড়ায় আঞ্চলিক দলের এই দাপট কংগ্রেস হাইকমান্ড এবার মুখ বুজেই মেনে নিচ্ছে বলে খবর৷ আসলে বাস্তব পরিস্থিতি দলের অনুকূলে নয়৷ তার সুযোগ নিচ্ছে শরিকেরা৷
তাতে কংগ্রেসের বিপদ অন্যভাবে বাড়ছে৷ দলের অনেক প্রত্যাশীকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না্৷ যেমন মুম্বইয়ের সঞ্জয় নিরুপম৷ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মুম্বই উত্তর পশ্চিম আসনে তাঁকে টিকিট না দিলে দল ছাড়বেন৷ ওই আসনে শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে৷