• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পন্থ এসেও দলের হাল বদল করতে পারলেন না

দিল্লি– গাডি় দুর্ঘটনায় গত আইপিএলে তাঁর খেলা হয়নি৷ এবারও খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল৷ শেষ পর্ষন্ত এনসিএ-র ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে দিল্লি ক্যাম্প যোগ দেন৷ শুধু যোগ দেওয়াই নয়, দলের অধিনায়কও হন৷ এত কিছুর পরও দলের চেহারা বদলাল না৷ দিল্লি ক্যাপিটালস আছে আগের চেহারায়৷ গত মরশুমে লিগ টেবিলে শেষের দিকে জায়গা হয়েছিল৷ এবার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! পাঞ্জাব

দিল্লি– গাডি় দুর্ঘটনায় গত আইপিএলে তাঁর খেলা হয়নি৷ এবারও খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল৷ শেষ পর্ষন্ত এনসিএ-র ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে দিল্লি ক্যাম্প যোগ দেন৷ শুধু যোগ দেওয়াই নয়, দলের অধিনায়কও হন৷ এত কিছুর পরও দলের চেহারা বদলাল না৷ দিল্লি ক্যাপিটালস আছে আগের চেহারায়৷ গত মরশুমে লিগ টেবিলে শেষের দিকে জায়গা হয়েছিল৷ এবার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! পাঞ্জাব কিংসের কাছে প্রথম ম্যাচে হারার পর আবার হারল দিল্লি৷ এবার রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ১২ রানে৷

মাঠের বাইরে ডাগআউটে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা ওয়ান ডে ক্রিকেটে নিজেদের জমানায় শিরোনামে ছিলেন৷ এই ফরম্যাটেও চমকে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স ছিল পন্টিং ও সৌরভের৷ কিন্ত্ত মাঠের বাইশ গজে দাঁডি়য়ে যাঁরা খেলছেন, তাঁদের পারফরম্যান্স কি! রাজস্থানের ৫ উইকেটে ১৮৫ রানের টার্গেটে ছুটতে গিয়ে ধরাশায়ী পন্থরা৷ রান তাড়া করে খেলবেন বলে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত তাতে কি হল৷ ওয়ার্ণার (৪৯) ছাড়া চোখে পড়়ার মতো রান করলেন ত্রিস্টান স্টাবস৷ ২৩ বল খেলে ৪৪ অপরাজিত৷ বলার মতো আর কিছু নেই৷ ঋষভ ২৬ বল খেলে ২৮, মিচেল মার্শের ২৩৷ এই রান নিয়ে রাজস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন কীভাবে! তাই ম্যাচ বের করা সম্ভব হয়নি৷ ১৭৩ রানে তারা আটকে গেলেন৷

দিল্লির থেকে রাজস্থান যে দারুন খেলেছে তা-ও বলা যাবে না৷ ম্যাচের সেরা রিয়ান পরাগ দাঁড়াতে না পারলে রাজস্থান দেড়শোর ঘরে ঢুকতে পারত কিনা সন্দেহ৷ ৪৫ বল খেলে পরাগ অপরাজিত ৮৪ করলেন৷ আর এটাই রাজস্থানকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে গেল৷ বাকিদের রানের খাতা দেখলে মনে হবে এই দল জিতল কীভাবে! রানগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক৷ যশ্বসী ৫, বাটলার ১১, স্যামসন ১৫, অশ্বিন ২৯, জুরেল ২০৷ পরাগের সঙ্গে উইকেটে ছিলেন সাইমার হেটমায়ার (১৪)৷ এই জায়গা থেকে পরাগের রান বাদ দিলে রাজস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ ১৭.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ থেকে তারা পৌঁছে যায় ১৮৫ রানে৷ ১৪ বল খেলে যোগ হয় ৪৩ রান৷ এই জায়গায় তাদের আটকে দিতে পারলে দিল্লির পক্ষে ম্যাচ বের করা সহজ হত৷ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলাররা নিজেদের চেনাতে পারায় রাজস্থান সহজে জিতে গেল৷ শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান৷ আবেশ খানের সামনে সেট হওয়া ব্যাটসম্যান স্টাবস৷ কিন্ত্ত তিনি কিছু করতে পারলেন না৷ অক্ষরেরও এক অবস্থা৷ ১৭ রান তাড়া করতে নেমে চার রানের বেশি তুলতে পারল না৷ ফলে আবার একটা হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল৷