একটানা বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ধস নেমেছে। ধসে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম। সিকিমগামী রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধস নেমেছে। প্রাণহানির কোনও খবর না থাকলেও ধসের জেরে অনেক স্থানেই ধস সরানাের কাজ শুরু হয়েছে। ধস সরিয়ে যানবাহন স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হলেও বৃষ্টির জেরে অনেক স্থানে আবার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সেভক কালীবাড়ির কাছে ধস নামে।ধস নামে সেভক সেতুর কাছেও।শ্বেতীঝােরার কাছে পাহাড় থেকে পাথরের নুড়ি ঝরে পড়েছে অনেকগুলাে।ফলে সেখানে ধস সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।সিকিমের রাস্তায় কুড়ি মাইলেও ধস নেমেছে।লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকাতেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।এদিকে বুধবার যে পর্যটক বােঝাই ইনােভা গাড়ি সেভকের বাঘপুলের কাছে তিস্তাতে পড়ে যায় তাদের কোন সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজদের সন্ধানে বৃহস্পতিবারও উদ্ধার কাজে নামে স্পিডবােট।কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তাদের কোনও হদিশ মেলেনি। তবে যে চারজন পর্যটক তিস্তাতে নিখোঁজ হয়েছেন তাদের পরিবার রাজস্থান থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছেছে।
এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবারও শিলিগুড়ি সমতলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। এদিন বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ির রাস্তাঘাটে লােকজনের উপস্থিতি কম ছিল। অফিস কাছারিতেও লােকজন কম ছিল। তবে বিকেলের দিকে হালকা রােদের দেখা মেলে।
শিলিগুড়িতে চম্পাসরি এলাকাতেও সমরনগরে মহানন্দা নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ার গুজবে আতঙ্ক দেখা দেয়। টানা বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকাতে জল জমে গিয়েছে।এ শিলিগুড়ি মহানন্দা নদী লাগােয়া কিছু এলাকা ছাড়া অন্য অনেক স্থান থেকে জল জমে যাওয়ার খবর মিলেছে। অনেকেই তাদের এলাকাতে নিকাশি দুর্বল বলে অভিযােগ তােলেন।