নিজস্ব প্রতিনিধি— ডায়মন্ড হারবার ভোটে লড়তে প্রস্তুত, দলের অনুমোদন পেলেই প্রচার শুরু করে দেবেন৷ জানালেন ভাঙডে়র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ শুক্রবার তিনি ডায়মন্ড হারবারের বর্তমান সাংসদকে ‘প্রাক্তন’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷গত কয়েক মাস ধরেই নওশাদ বলে আসছেন, তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান৷ দল অনুমতি দিলেই প্রার্থী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ নওশাদের দাদা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও ধর্মীয় সভা থেকে বলেছিলেন, “আমরা ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেব৷” তার পর সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়৷ কিন্ত্ত নওশাদের ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেনি আইএসএফ৷শুক্রবার নওশাদ বলেছেন, ‘‘আমি লড়তে প্রস্তত৷ আশা করি, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দলের অনুমোদন পেয়ে যাব৷ আমি ডায়মন্ড হারবার থেকেই ভোটে দাঁড়াতে চাই৷ ওখানে এই মুহূর্তে যে বিদায়ী সাংসদ রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আমি লড়ব এবং তাঁকে ‘প্রাক্তন’ করে দেব৷ আমি জিতব বলেই আশাবাদী৷ আমি তো তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি৷ আমার হারের ভয় নেই৷’’নওশাদ আরও বলেন, ‘‘দলে আলোচনা চলছে৷ তবে আর বেশি সময় লাগবে না৷’’
আইএসএফের একটি সূত্রে খবর, নওশাদ অভিষেকের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ান, তা দলের অনেকেই চাইছেন না৷ তাঁরা এই সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে নওশাদকে অনুরোধ করেছেন৷ তাঁদের যুক্তি, নওশাদ ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়াই করলে অন্যান্য কেন্দ্রে আইএসএফের প্রচার ধাক্কা খাবে৷ তবে নওশাদ এ বিষয়ে এখনও অনড়৷ ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ প্রার্থী হলে তাদের আপত্তি নেই বলে আগেই জানিয়েছে সিপিএম৷ আসন সমঝোতার স্বার্থে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানায়নি কংগ্রেস৷
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নওশাদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাকে কটাক্ষ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো সেই কবে থেকে বলছি, নওশাদ ভোটে দাঁড়ান৷ এত সময় নষ্ট করছেন কেন? প্রচারে তো দেরি হয়ে যাচ্ছে৷ উনি ডায়মন্ড হারবারে আসুন৷ কিন্ত্ত ভোটে লড়ার আগে জানিয়ে দিন, কত ভোটে হারবেন৷’’
ডায়মন্ড হারবার নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘‘বিজেপি তো এখনও ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণাই করেনি৷ তৃণমূল এত চাপ নিচ্ছে কেন? উনি কী ভাবে ভোটের ব্যবধান বৃদ্ধি করেন, সেটা সকলে জানেন৷’’
