নিজস্ব প্রতিনিধি– চলতি লোকসভা নির্বাচন আবহে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে তথ্য বিভ্রান্তির অভিযোগ আনলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র৷ ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোমওয়ার্ক করে আসেননি৷ তাই রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলেছেন’৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করে হইচই ফেললেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র৷ তাঁদের কাছে একমাত্র রানি হলেন রানি রাসমণি৷ আমাদের গণতন্ত্রে আর কোনও রাজা-রানি নেই৷” প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখা হলেও আসলে যে লোকসভার ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ই তাঁর নিশানা এটা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে৷
রাজবধূর মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং ফোন করেছেন তাঁকে৷ কোন অস্ত্রে ঘায়েল করবেন বিরোধী প্রার্থীকে, পাঠ দিয়েছেন তারও৷ তারপরেই এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া মৈত্র লেখেন, ‘বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সমাজ সংস্কারক ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র৷ এটা তাঁদের পড়ানো হয়েছে৷ উনি রাজা রামমোহন রায় ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন’৷ পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া বলেন, “আমি জানি আমরা স্বাধীন ভারতে গণতন্ত্রে বাস করি৷
বাংলার মানুষ একজন রাজাকেই চেনেন, তিনি রাজা রামমোহন রায় এবং একজন রানিকেই চেনেন, তিনি রানি রাসমণি৷ তাছাড়া কে রাজা, কে রানি স্বাধীন ভারতবর্ষের গণতন্ত্রে আমি ঠিক জানি না৷ আমি যতদূর জানি কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অমৃতা রায়৷ আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছি৷ তাঁকে বলছি ভোটের ময়দানে নামুন৷ এই এলাকায় ৮২ টি অঞ্চল আছে, প্রত্যেক এলাকায় যান৷ ১৮৪১ টা বুথ আছে, সব জায়গায় যান৷ মানুষের সঙ্গে মিশুন৷ আমি শুনেছি ভিডে় আপনার কষ্ট হয়৷ সেই ভয়টাকে অতিক্রম করুন৷ তাহলেই খেলা জমে যাবে৷” মহুয়ার এই কটাক্ষের জবাবে অমৃতা রায় বলেন, “ওঁকে আমি আমাদের রাজ রাজেশ্বরীর দুর্গোৎসবে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ উনি এলে দেখতে পাবেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ আসেন আমার সঙ্গে সিঁদূর খেলতে৷ আমি প্রতিবছর সেই মুহূর্তটার অপেক্ষা করি৷” এই নিয়ে তীব্র চাপান উতর চলছে রাজনৈতিক মহলে৷