• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

বিচার প্রক্রিয়ার আস্থা ভাঙার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন দেশের ৬০০ আইনজীবী

দিল্লি, ২৮ মার্চ – স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নানাভাবে বিচার বিভাগকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। বিশেষত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলির ক্ষেত্রে।শুধু তাই নয়, তারা প্রকাশ্যে ‘বেঞ্চ ফিক্সিং’য়ের মতো শব্দ প্রয়োগ করছে। এমন অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, হরিশ সালভে, মননকুমার মিশ্র, আদিশ আগরওয়ালা, চেতন মিত্তল, পিঙ্কি আনন্দ,

দিল্লি, ২৮ মার্চ – স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নানাভাবে বিচার বিভাগকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। বিশেষত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলির ক্ষেত্রে।শুধু তাই নয়, তারা প্রকাশ্যে ‘বেঞ্চ ফিক্সিং’য়ের মতো শব্দ প্রয়োগ করছে। এমন অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, হরিশ সালভে, মননকুমার মিশ্র, আদিশ আগরওয়ালা, চেতন মিত্তল, পিঙ্কি আনন্দ, হিতেশ জৈন, উজ্জ্বলা পাওয়ার, উদয় হোল্লা এবং স্বরূপমা চতুর্বেদি প্রমুখ।

দেশের প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য, এক কায়েমি স্বার্থ রক্ষাকারী গোষ্ঠী বিচারবিভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যা খুবই উদ্বেগজনক। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে। অযৌক্তিক যুক্তি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারবিভাগকে ব্যবহার করে আদালতের মর্যাদাহানি করছে। এই ধরনের গোষ্ঠী ‘বেঞ্চ ফিক্সিং’য়ের মতো তত্ত্ব খাড়া করে দিচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা।

চিঠিতে তাঁরা লেখেন, এটি শুধু অসম্মানজনক তাই নয়, আদালতের সম্মান ও সম্ভ্রমের প্রতিও অমর্যাদাকর। নির্বাচনের আগে যখন দেশের প্রতিটি কোণায় বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগে ধরে ধরে জেলে ঢোকানো হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাঁদের হেফাজতের মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে , তখন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে লেখা এই চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর এই কার্যকলাপ বিশ্বাস ও সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করছে। যার উপর ভিত্তি করে বিচারকার্য পরিচালনা হয়, তা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, এই চাপের কৌশল নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক মামলাগুলির ক্ষেত্রে। বিশেষ করে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মামলায় বেশি চাপ আসছে। এই কৌশল আদালতের ক্ষতি করছে। দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দূষিত করছে।

চিঠিতে আইনজীবীরা লিখেছেন, কিছু নির্দিষ্ট আইনজীবী বিচারবিভাগকে হাস্যকর করে তোলার কাজে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করে অতীতে দারুণ কাজ হতো এসব মিথ্যা প্রচার করছেন। কিছু আইনজীবী দিনের আলোয় রাজনীতিকদের হয়ে আদালতে দাঁড়াচ্ছেন। রাতে আবার তাঁরাই মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে বিচারক বা বিচারপতিদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, এই ধরনের আইনজীবীরা সাধারণ মানুষের মন থেকে বিচারবিভাগের প্রতি আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আইনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা  প্রয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

চিঠির শেষে প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁদের আর্জি , ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বার্থে আদালতকে ব্যবহার করার এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। যার ক্ষতি করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধ মুখ খোলার সময় এসেছে।