দিল্লি, ২৭ মার্চ– আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই রাজধানী সরগরম৷ তারসঙ্গেই সরগম বিশ্ব রাজনীতিও৷ তার প্রমাণ প্রথমে জার্মানি ও পরে মার্কিন তরফে কেজরিওয়াল প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করা৷ তবে ভারতও দমবার পাত্র নয়৷ আর সেই কথাই বুধবার ভারত বুঝিয়ে দিলে মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে৷ জার্মানির পর আমেরিকার তরফে এই গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারটি সাউথ ব্লক মোটেই ভালো চোখে দেখছে না তাই প্রমাণ হল এই তলবে৷ ইতিমধ্যেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ইসু্যতে তিনদিন আগে জার্মানির তরফে বলা হয়েছিল, তাঁরা আশা করছে ভারত সরকার এই ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পদক্ষেপ করবে৷ আর এরপরই মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা৷ মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন৷ এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপের আশা করছেন৷ সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের পরই আমেরিকার ওই কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি৷ বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটের বৈঠক হয়৷ সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে কেন তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই কূটনীতিকের কাছ থেকে৷ যদিও আর কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সামনে আসেনি৷
আমেরিকার দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনা কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন৷ এরপরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই বিষয়ে নিন্দা করা হয়েছে৷ নয়াদিল্লির বার্তা, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত৷ কূটনীতিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ৷ নাহলে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়৷
এর আগে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্যের কথা সামনে আসতেই সাউথ ব্লকের তরফে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ তাকেও কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ ভারতের ব্যপারে মন্তব্য করা তাদের এক্তিয়ার বিরুদ্ধ৷