• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রথম লিফ্ট আবিষ্কর্তা কিন্তু রাবণ

ভারতে প্রথম শুরু হল গঙ্গার তলদেশে মেট্রো ভ্রমণ৷ সেই ভ্রমণকালে অনেকটা উপরে বা নীচে নামতে হয়৷ তারজন্য রয়েছে সিড়ি-এক্সেলেটর- লিফ্ট৷ সবথেকে কম সময়ে বহুতলে ওঠার ব্যবস্থা হল লিফ্ট৷ আচ্ছা বলুন তো কত বছর আগে এই লিফ্টের আবিষ্কার? বলবেন এই তো, ১৮৫২ সালে প্রথম লিফ্টের আবিষ্কার৷ ইতিহাস তো তাই বলে৷ ব্যাস এইটুকুই জানেন, তাও ভুল৷ যদি রামায়নের বিশ্বাস করেন তাহলে

ভারতে প্রথম শুরু হল গঙ্গার তলদেশে মেট্রো ভ্রমণ৷ সেই ভ্রমণকালে অনেকটা উপরে বা নীচে নামতে হয়৷ তারজন্য রয়েছে সিড়ি-এক্সেলেটর- লিফ্ট৷ সবথেকে কম সময়ে বহুতলে ওঠার ব্যবস্থা হল লিফ্ট৷ আচ্ছা বলুন তো কত বছর আগে এই লিফ্টের আবিষ্কার? বলবেন এই তো, ১৮৫২ সালে প্রথম লিফ্টের আবিষ্কার৷ ইতিহাস তো তাই বলে৷

ব্যাস এইটুকুই জানেন, তাও ভুল৷ যদি রামায়নের বিশ্বাস করেন তাহলে বলি লিফ্টের আবিষ্কার রাবনের লঙ্কায়৷ রামায়ণে নায়ক যদি হন রাম, তাহলে খলনায়ক হলেন রাবণ৷ রাবণের অত্যাধিক জ্ঞান, বুদ্ধি, সমৃদ্ধি, অহঙ্কার, হঠকারিতা এবং ক্রোধের কথা আমরা সকলেই জানি৷ জানি তাঁর সোনার লঙ্কার কথাও৷ কিন্ত্ত সেই জানেন কি রাবণের সেই সোনার লঙ্কায় ছিল প্রথম লিফ্টটি৷

পুরাণযুগের রাক্ষসরাজ রাবণের সেই আজব প্রাসাদটি আজও নাকি বর্তমান৷ সোনার তৈরি লঙ্কার সাম্প্রতিক ছবি দেখে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন৷ এটাই কি সেই লঙ্কা? মনে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ লোকে বলে, লক্ষ লক্ষ বছর পরে দশানন রাবণের মৃতদেহ নাকি এখানে সমাহিত রয়েছে৷ কথিত আছে যে, বর্তমানে শ্রীলঙ্কার সিগিরিয়া নামক স্থানে রাবণের একটি প্রাসাদ ছিল৷ যে পাথরের উপর রাবণের প্রাসাদ ছিল তা এরকম একটি অনন্য স্থানে অবস্থান করছে৷

রাবণের সাম্রাজ্য মধ্য শ্রীলঙ্কার বাদুল্লা, অনুরাধাপুরা, ক্যান্ডি, পোলোনারুওয়া এবং নুওয়ারা এলিয়ার মতো জায়গায় ছডি়য়ে পডে়ছিল বলে মনে করা হয়৷ কথিত আছে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন রাবণের বৈমাত্রীয় ভাই কুবের৷

সিগিরিয়া রক হল পাহাডে়র চূড়ায় একটি প্রাচীন প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, যার চারপাশে দুর্গ, সোপান, বাগান, পুকুর, খাল, ঝর্ণা ইত্যাদি রয়েছে৷ কথিত আছে রাবণ মা সীতাকে এখানে কয়েকদিন রেখেছিলেন৷ এরপর তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়৷

প্রাসাদের বিশেষত্ব ছিল এই যে, অনেক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও এখানে জলের অভাব ছিল না৷ বিশেষ উপায়ে জল তোলার ব্যবস্থা ছিল এখানে৷ শুধু তাই নয়, এখানে রানিদের জন্য বাগানও তৈরি করা হয়েছিল৷
এখন ভাবুন এইরকম প্রাসাদটির চূড়ায় যাতায়াত কি চারটিখানি কথা৷ তখনকার মানুষের কি এমন ক্ষমতা ছিল যে সেই পাহাড় থেকে সহজে নামা-ওঠা করতে পারত নিত্যদিন৷ হু..হু.. এখানেই তো ম্যাজিক৷ এই পাহাড়ে ওঠার জন্য রাবণ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের জন্য প্রায় ১০০০টি সিঁডি় সহ একটি লিফট ছিল৷

এখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাগেলার জঙ্গলে প্রায় ৮ হাজার ফিট উচ্চতায় রাবণের মৃতদেহ রাখা আছে৷ লোকে বলে রাবণের মৃতদেহ নাকি মমি হিসেবে রাখা হয়েছে৷ মৃতদেহের উপর একটি অনন্য প্রলেপ দেওয়া হয়েছে, যাতে মৃতদেহ কখনও নষ্ট না হয়৷ তবে এর কোনও শক্ত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি৷