• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নিমন্ত্রিতদের তালিকা

চিরঞ্জয় চক্রবর্তী বুবু বিয়ে করবে৷ গতকাল রাতে খেতে খেতে মাকে বলেছে৷ মৃদুলা বিশ্বাস করতে পারেনি৷ অনেকক্ষণ মেয়ের দিকে তাকিয়েছিল৷ খাওয়ারটা গলা দিয়ে নামছিল না৷ বুবু মাথা নিচু করে খাচ্ছিল, মাথা তুলে মায়ের প্রতিক্রিয়া দেখতে গিয়ে চমকে গেল৷ মা স্ট্যাচু হয়ে গেছে৷ মেয়ে তাকাতেই, মৃদুলা ঢোক গিলল৷ তারপর বলল, এই পেটির মাছটা খা, একদম কাঁটা নেই৷

চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

বুবু বিয়ে করবে৷ গতকাল রাতে খেতে খেতে মাকে বলেছে৷ মৃদুলা বিশ্বাস করতে পারেনি৷ অনেকক্ষণ মেয়ের দিকে তাকিয়েছিল৷ খাওয়ারটা গলা দিয়ে নামছিল না৷ বুবু মাথা নিচু করে খাচ্ছিল, মাথা তুলে মায়ের প্রতিক্রিয়া দেখতে গিয়ে চমকে গেল৷ মা স্ট্যাচু হয়ে গেছে৷ মেয়ে তাকাতেই, মৃদুলা ঢোক গিলল৷ তারপর বলল, এই পেটির মাছটা খা, একদম কাঁটা নেই৷

খবরটা খুব দ্রুত বাড়ির প্রতিটি কোণে পৌঁছে গেছে৷ মৃদুলা যখন খবরটা দিল সোম প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিল৷ যা ঠাণ্ডা তাতে রাতে খাওয়ার পর আর বসে থাকা যায় না৷

সোম সোজা বিছানায়৷ অন্যান্য দিনের মত বই নিয়ে বসেনি৷ পড়ার ঘরের দিকে তাকায়নি পর্যন্ত, ভিতরে যে আলো জ্বলছে সেটা ও বুঝতে পারছিল৷ মেজদা অর্থাৎ বুধাদিত্য আছে৷ বুবু মেজদার শিষ্যা৷ মেজদাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, বিয়ে করেননি কেন? মেজদা চুপচাপ থাকে, এ বিষযে কোন কথা বলতে চায় না৷ এরপরেও যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, বিয়ে করেননি কেন?

মেজদা আস্তে আস্তে বলে, খুব ইচ্ছে ছিল বিয়ে করার৷ কিন্ত্ত সমস্যাটা হল কী, আমি ‘ই’-এর পরে ‘ঈ’ সাঁতরাতে পারলাম না৷ ‘উ’–এর কাছে যেতে পারলাম না৷ তাই বই-তে রয়ে গেলাম, কখনও বউ-তে পৌঁছতে পারলাম না৷ তাই বিয়ে হল না৷ বুবু প্রায় ত্রিশ বছরে এসে বলল বিয়ে করব৷ সেও তার গুরুর মত বলত, ‘বিয়ে করব না৷ কারণ বিয়ে কেউ করেনা, হয়৷’ আজ সে বলেছে বিয়ে করব৷

এই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সোম উঠে বসল৷ বুবু বিয়ে করবে৷ কাল থেকে লেগে পড়তে হবে৷ মৃদুলা বিছানার কাছে আসতেই বলল, অনেকদিন পর আনন্দ নিয়ে ঘুমাব৷


বলতে গেলে ঘুমটা হল না৷ মাথার মধ্যে নানরকম বিষয় ঢুকতে শুরু করেছিল৷ মাঝে মাঝেই ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল৷ সোম যে কোনও নিমন্ত্রণ বাড়িতে গেলে, যতই আলো জ্বলুক, যতই হইচই হোক বা ভালো খাওয়াক, ও দেখে কারা কারা এসেছে৷ ও মনে করে অতিথিদের সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে সব কিছু মানানসই হতে হয়৷ না হলে সেই জমায়েতের কোনও মূল্য হয় না৷ যেমন দেখেছিল, তপনের মায়ের শ্রাদ্ধে, সাতটা ইউনিভার্সিটির অধ্যক্ষরা এসেছিলেন৷ আর যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা অধ্যয়ন-অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত৷ শ্রাদ্ধবাড়িতে একদিকে যেমন বৈদিকমতে শ্রাদ্ধ হচ্ছে অন্যদিকে শাস্ত্র অলোচনা করছেন সমাগত অতিথিরা৷ পরিবেশটা যেন কোনও তপস্বীর আশ্রম৷ তপনের মা নিজেও বিদূষী ছিলেন৷ সোমের মনে হয়েছিল, এরকম জমায়েত সে ভাবতে পারে না৷

মনে পড়ল তারাপ্রসাদ চক্রবর্তীর জন্মদিনের পার্টির কথা, গ্র্যাণ্ডের বলরুমে রাজকীয় আয়োজন৷ নিমন্ত্রণ পত্রে ড্রেসকোড ছিল৷ ওদের বাড়ি থেকে যে পিয়ন চিঠি নিয়ে এসেছিল, সে অনুরোধ করেছিল, যাওয়ার আগে চিঠিটা পড়ে নেবেন৷ সোম তার সামনেই চিঠিটা খোলে, এ পোশাক আমার নেই আমি যেতে পারব না৷
পিয়নটি বলে একবার ফোন করে নিন স্যার৷

গ্র্যাণ্ডের বলরুমে গিয়ে সোম দেখল দু’জন ধুতি-পাঞ্জাবী পরা৷ একজন র্বাথ ডে বেবি, অন্যজন সোম৷ দ্বিতীয়ত যাদের সে অহরহ টিভিতে বা দৈনিক কাগজের পাতায় দেখে, তাঁরা সবাই হাজির৷
সোমের মনে হয়েছে, সর্বপ্রথম, তালিকা তৈরি করতে হবে৷ কতজন লোক হবে, তার উপর আয়োজন করতে হবে৷ তাহলে নিমন্ত্রিতদের তালিকা করতে হবে৷ কাগজ কলম টেনে নিয়ে প্রথমেই লিখল— ১) শ্রীশ্রী গুরুদেব
২) পুরোহিত মশাই


বুবুর ইচ্ছা সই করে বিয়ে করে৷ পাত্রও সেটাই জানিয়েছে৷ মেজদা আপত্তি করেছে৷ ও বুবুকে বলেছে কন্যা সম্প্রদান রাজসূয় যজ্ঞের সমান৷ এই সুযোগ কি ছাড়া যায়? পাত্র ও পাত্রী ব্যাপারটা প্রথমে বুঝতে পারেনি৷ মেজদা রাজসূয় যজ্ঞ বিষয়টা বোঝাতে, ওরা মেনে নিল৷

তারপরে বুবু সমস্ত মন্ত্রের অর্থ জানতে চাইল৷ কয়েকদিন ধরে মেজদার কাছে মন্ত্র ধরে ধরে তার অনুবাদ শুনল৷ সব শোনার পর বলেছিল, ‘এটা কীরকম হল? সবই তো দেখছি ছেলেদের দিকে! পিতৃস্থানীয় কেউ দান করলেন, আর তারপর মেয়েটিকে বলা হল যে, তোমাকে গুণী, ধৈর্যশীলা, দানশীলা, ক্ষমাশীলা ইত্যাদি ইত্যাদি হতে হবে৷ সবাইকে ভালোভাবে বহু যত্নে দেখে শুনে রাখতে হবে— শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর, ননদ, পরিবার সবার দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে চাপানো হবে৷ আর এদিকে আমার মুখে কোনও কথা নেই৷ চুপচাপ বসে আছি৷ আমি কি জড়বস্তু, শুধু অলঙ্কার ও কাপড়ের পুঁটুলি মাত্র? আমার কিছুই বলার থাকবে না?’ বাক্যের মধ্যে শ্লেষ যে একদম ছিল না, এরকম নয়৷ শুধু ওর গুরু বলে খুব কম ডেসিবেলেই কথাটা বলেছিল৷

বুধাদিত্য দীর্ঘ বাক্য শুনে হেসে ফেলেছিলেন৷ ওঁকে হাসতে দেখে বুবুর ভ্রু কুঁচকেছিল৷ কিন্ত্ত কিছু বলেনি৷ ওর মুখ দেখে সবাই বুঝতে পারে ও বৈদিক মতে বিয়ে করবে না৷
—তুমি রেগে গেলে?
—না৷ এটা আমার জিজ্ঞাসা৷
—তোমায় এত দায়িত্ব দেওয়া হল৷ তুমি তো কিছু না দেখেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হয়েছ৷ অসুবিধা কোথায়?
—আমি বিয়ে করব না৷
—তাহলে আমার রাজসূয় যজ্ঞ হবে না?
বুবু কোনও কথা বলছে না৷ মাটির দিকে তাকিয়ে বসে আছে৷ বুধাদিত্য বললেন, উপায় একটা আছে! দুষ্ট বুদ্ধি একটা দিতে পারি৷
বুবু চনমনে হয়ে উঠল, কী বুদ্ধি?
—যখন তোমায় এই সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হবে, তুমি বলবে ‘যথাশক্তি বাঢ়ম্’ মানে যথাশক্তি সম্মতি দিলাম৷ যতদূর সাধ্য ততটুকু প্রতিশ্রুতি দেবে৷


বুধাদিত্য, সোমাদিত্য, মৃদুলা আর বুবু বসেছে নিমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করতে৷ বুবু এখানে বসতে চায়নি৷ বলতে গেলে মা জোর করে বসিয়েছে৷ শিখে রাখা দরকার৷ ভবিষ্যতে কাজে লাগবে৷
সোম বলল, গুরু, পুরোহিতের নাম লিখেছি৷ এরপর?
—আমাদের মামাবাড়ি লেখ৷
—পাঁচ জায়গায় যেতে হবে৷
—যাবে৷ তবে— বলে বুধাদিত্য বাকি তিনজনকে দেখলেন৷ তারপর কী ভেবে বললেন জর্জের বিয়ের মত না হয়!
—কী হয়েছিল?
—দাদা পুরুলিয়া থেকে আমাকে বলেছিল, জর্জের বিয়ে, কিছু নিমন্ত্রণের দায়িত্ব তোকে নিতে হবে৷ একার পক্ষে তো সম্ভব নয়৷ আমি রাজি হয়েছিলাম৷
হঠাৎ বুবুর দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি দশ মিনিটের জন্য পড়ার ঘরে যাও৷
বুবু উঠে গেল৷

বুধাদিত্য বললেন, দাদা এসে আমাকে বেশ কয়েকটা নিমন্ত্রণের কার্ড ধরিয়ে দিল৷ আমি দেখলাম সবাই আমার অত্মীয় পরিজন, বাড়িগুলো চিনি৷ অসুবিধার কিছু নেই৷ পর্দাটা উঠল পরে৷ মানে রাণাঘাটে মামাবাড়ি দাদা যাবে, কিন্ত্ত আনুলিয়া সোনাদির বাড়ি আমাকে যেতে হবে৷ যাদবপুরে আমি যাব অথচ সোনারপুরে ও যাবে৷ বিয়ে হয়ে গেল৷ একদিন ভাবছিলাম এরকম ভাগ করল কেন? আমি দেখলাম, দাদা নিজের কাছে মামাবাড়ি, জ্যাঠা-কাকার মত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের কার্ডগুলো রেখেছে৷ আমার কাছে তুতো দিদি, ভাগ্নী, ভাইঝি এবং আত্মীয়দের কার্ডগুলো দেওয়া হয়েছে৷ দুজনেই রাণাঘাট গেলাম৷ ও নাসরা কলোনি আমি আনুলিয়া৷ একজন পুবে অন্যজন পশ্চিমে৷ ফেরার পথে দাদা-বউদির সঙ্গে প্লাটফর্মে দেখা হল৷ দাদা হেসে বলেছিল, অনেকদিন তো মামাবাড়ি আসা হয় না৷ এই উপলক্ষে ঘুরে গেলাম৷ আমি কিছু বলতে পারিনি৷ ভাবছিলাম ভাগ্যিস ভাবাইকে স্টেশনে ঢুকতে দিইনি৷ ও বলেছিল, মেজমামু তোমাকে তুলে দিয়ে যাই? আমি ঠাণ্ডার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম৷ ও যদি দেখত তাহলে? এবার এটা করিস না৷ এতে বড় হওয়া যায় না৷
—দাদা এটা কেন করেছিল?
—বুঝে নে৷


মৃদুলা ঘরে ঢুকেই বলল, লিস্টে গুরুদেব আর পুরোহিতের পরেই কুট্টির নাম লেখ৷ কুট্টিকে চাই৷
—কুট্টি কি আসবে?
—আসবে না কেন?
—অগেরদিন কুট্টি কিন্ত্ত কাঁদতে কাঁদতে গেছিল৷
—কোনও খারাপ কথা তো বলিনি৷ ঠিকানাটা শুধু বদলাতে বলেছিলাম৷ পিওন এসে যখন বলে, টাকা এসেছে৷ তখন কোথায় খুঁজি বলো তো? আমাকে তো জানায় না কোথায় কখন থাকে৷ এটুকুও বলতে পারব না৷
—সম্পর্কে তো পিসি৷
—দেখো, আমিই পিসিকে বিধবাভাতা করে দিয়েছি৷ কেউ কিন্ত্ত পিসির জন্য ভাবেনি৷
—কুট্টি এখন কোথায় আছে?
—তপনকে জিজ্ঞাসা করলে জানা যাবে৷ কুট্টিকে আমার চাই৷
—চাই মানে? নেমন্তন্ন করা হবে, যদি আসে ভালো লাগবে৷
—যদি আসে মানে? কুট্টিকে আসতেই হবে৷ আমি সব করব, আর আমার একটা মেয়ের বিয়েতে আসবে না? আমি গিয়ে নিয়ে আসব৷
—তাঁর শরীর বা ইচ্ছার বিরুদ্ধেও নিয়ে আসবে?
—কুট্টি না এলে এতবড় ঘটনাটা ম্যানেজ করবে কে? সময়ে-অসময়ে দেখব, আর আমাকে দেখবে না?


বুবুর লিস্ট বিশাল৷ তার অফিসের লোক, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা৷ মনে হয় জ্ঞান হওয়া ইস্তক যত লোকের সঙ্গে মিশেছে, কাউকেই বাদ দেয়নি৷ লিস্টটায় চোখ বুলিয়ে বুধাদিত্য বললেন, একটু ছোট করতে হবে৷
—বন্ধুদের বলব না?
—বলবে, নিশ্চই বলবে৷ তবে যাদের না বললে নয় তাদেরই বলবে৷
—কাকে বাদ দিই বলো?
—অনেক লোক বলতে আপত্তি নেই, কিন্ত্ত তাদের তো আপ্যায়ন করতে হবে৷ আমাদের সে লোক কই? আপ্যায়ন করতে না পারলে ভালো দেখায় না৷ পরিবারের সম্মান যায়৷ তুমি তালিকা ছোট কর৷
সোম এতক্ষণ কোনও কথা বলেনি৷ চুপচাপ শুনছিল৷ ওর মুখোমুখি মৃদুলা বসে৷ মুখটা দেখে মনে হয়, আলোচনায় ও প্রসন্ন হয়নি৷ হঠাৎ জিজ্ঞাসা করল, কুট্টির পর আর কাকে খুব প্রয়োজন?
—ভালো মনে করেছ, কেষ্টুপুরের সুজাতাকে চাই৷
—কেন?
—এতগুলো লোকের দু’বেলা রান্না কে করবে? তোমরা খাবে কি?
—সুজাতা কেন করবে? সে আনন্দ করবে না? টাকা দিয়ে লোক রাখ৷
—টাকা তো ওকে প্রতিমাসে দিই৷ প্রয়োজন হলে দিন দশেক কাজ করবে, তার জন্য কিছু দেব৷
—তুমি প্রতিমাসে টাকা দাও?
—দিই৷
—কেন?
—ছেলেটার লেখাপড়ার জন্য৷
—তার জন্য ওকে দিয়ে রান্না করাতে হবে?
—আমার ছোট বোন, তাকে দিয়ে কী করাব, আমি বুঝব৷ তোমার দেখতে হবে না৷
সোম লিখল, ১) শ্রীশ্রী গুরুদেব
২) পুরোহিত মশাই
৩) কুট্টি পিসি
৪) সুজাতা বসু


বুধাদিত্য বললেন, একটা আলাদা লিস্ট কর৷ প্রথমে লেখ বিশ্বনাথ রুদ্র
—কে বিশ্বনাথ?
—যে রিকশাওয়ালা আমাকে নিয়ে যায়৷ ওকে পাঁচদিন লাগবে৷
—পাঁচদিন কেন?
—বিয়ের আগের দিন থেকে বউভাতের পরদিন পর্যন্ত, এই পাঁচদিন৷
—আমাদের গাড়িটা আছে তো!
—বিশ্বনাথ বিশ্বাসী, রিকশা ছাড়াও এই পাঁচদিন একটা ফাই-ফরমায়েস খাটার লোক থাকবে৷ এর পর লেখো খাল্লোর নাম৷ ছেলেটা খেতে ভালবাসে, তবে কাজের আছে এবং বিশ্বাসী৷
—একটা মস্তানকে নেমতন্ন করবে?
—ও গেটের কাছে সন্ধ্যেবেলা দাঁড়িয়ে থাকলে অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না৷
—মানে?
—তুই বুঝছিস না৷ কাজের বাড়ির বাইরে একটা লোকের দরকার হয়৷ যে দাঁড়িয়ে থাকলে অবাঞ্ছিত লোক ঢুকবে না৷ অতিথিদের গাড়ি পার্কিং নিয়ে ভাবতে হবেনা৷ জামাই বরনের সময় রাস্তা জ্যাম হলে কেউ বলতে আসবে না৷ ট্রাফিক পুলিশও কথা বলবে না৷ এটা তো তুই আমি পারব না৷ তাই ওকে নেমন্তন্ন করতে হবে৷
মৃদুলা বলল, ঠিক বলেছেন৷ একজন শক্ত লোক দরকার৷
সোম লিখল— ১) শ্রীশ্রী গুরুদেব
২) পুরোহিত মশাই
৩) কুট্টি পিসি
৪) সুজাতা বসু
৫) বিশ্বনাথ রুদ্র
৬) খাল্লোভাই
বুবু উঠে যাচ্ছে দেখে সোম বলল, যাচ্ছিস কেন? এখনও তো হয়নি৷
যেতে যেতে বলল, এখন তো কাজের লোকের লিস্ট হচ্ছে৷