• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে ইডি

খায়রুল আনাম লোকসভা ভোটের আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শুক্রবার ২২ মার্চ কলকাতার চেতলা, গড়িয়াহাট ও লোকটাউনের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়৷ লেকটাউনে পরিবহন ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়িতেও এদিন হানা দেয় ইডি৷ এদিন সকাল সাড়ে ছ’টায় ইডির একটি দল সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে কলকাতার সল্টলেক কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে

খায়রুল আনাম
লোকসভা ভোটের আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শুক্রবার ২২ মার্চ কলকাতার চেতলা, গড়িয়াহাট ও লোকটাউনের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়৷ লেকটাউনে পরিবহন ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়িতেও এদিন হানা দেয় ইডি৷ এদিন সকাল সাড়ে ছ’টায় ইডির একটি দল সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে কলকাতার সল্টলেক কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে পৌঁছে যায় বীরভূমের বোলপুর পৌরসভার নায়েকপাড়ায় বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে৷ তিনটি গাড়িতে ছিলেন ইডি আধিকারিকরা৷ সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরুষ ও মহিলা জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন মন্ত্রীর হলুদ রঙের দোতলা বাড়ি-সহ প্রায় পঞ্চাশ মিটার এলাকা৷ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেন একজন মহিলা-সহ ইডির পাঁচ আধিকারিক৷ সেই সময় বাড়িতে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের স্ত্রী কুন্তলা সিংহ৷

তাঁদের দুই ছেলে সৌম্যজিৎ ও শুভদীপ তখন বাড়িতে ছিলেন না৷ কুন্তলা সিংহ বোলপুর পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর৷ কুন্তলাদেবীর কাছ থেকে ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ তাঁর পৈতৃক বাড়ি মুরারই থানার কলহপুরে রয়েছেন৷ তারপরই ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে বোলপুরের বাড়িতে হাজির হওয়ার কথা জানান৷ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত৷ অনু্ব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িও খুব কাছে৷ অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল এং চন্দ্রনাথ সিংহ ঘনিষ্ঠ বন্ধুও৷ গোরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত মণ্ডল কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন৷ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তাঁর বোলপুর নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিলো ২০২২ সালের বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট৷

তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের এক সময়ের সরকারি দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন৷ তবে, তাঁদের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি তিহাড় জেলে বন্দি থাকলেও বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন৷ ইতিপূর্বে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে দু’বার ডেকে জিজ্ঞাসাদ চালিয়েছে ইডি৷ এদিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ তাঁর বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে নিয়ে দ্রুততার সাথে বাড়ির মধ্যে চলে যান৷ কিছু মানুষ আশপাশে হাজির হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেয়৷ এরপর থেকেই বাড়ির ভিতর থেকে আর কাউকেও বাইরে আসতে দেওয়া হয়নি৷ বাইরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাড়ির ভিতরে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, তাঁর স্ত্রী কুন্তলা সিংহ৷