• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘তারকার দেখা’, আজ বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্রিকেটের বাইশ গজ থেকে সোজা রাজনীতির অন্দরে৷ দু’বার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে এবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে এলাকার কর্মীদের মনে আক্ষেপ ছিল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস ‘অধিকার যাত্রা’ শুরু করলেও

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্রিকেটের বাইশ গজ থেকে সোজা রাজনীতির অন্দরে৷ দু’বার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে এবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে এলাকার কর্মীদের মনে আক্ষেপ ছিল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস ‘অধিকার যাত্রা’ শুরু করলেও বহরমপুর তারকা প্রার্থীকে এখনও চোখে দেখেনি৷ সেই আক্ষেপ এবার ঘুচতে চলেছে৷ আজ বহরমপুরে আসছেন ইউসুফ পাঠান৷

সেই মর্মে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সমস্ত নেতা এবং কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও৷ অর্থাৎ আজ থেকেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে পুরোদস্ত্তর প্রচার চালাতে প্রস্ত্তত তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়ালব লিখনের কাজও৷

প্রসঙ্গত, ইউসুফ পাঠানের এই বহরমপুর যাত্রাকে এক ঐতিহাসিক রূপ দিতে চাইছে তৃণমূল৷ বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের কথায়, ‘‘ইউসুফ পাঠনের জন্য বহরমপুর অপেক্ষা করছে৷ এবার তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটবে’’৷ একই সঙ্গে, ইউসুফ পাঠানের বহরমপুরে পা রাখার সঙ্গেই যে অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিদায় ঘন্টা বাজবে সে কথাও বলেন অপূর্ব সরকার৷ অন্যদিকে, বহরমপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নির্মল সাহাকে৷ প্রচারের কাজে ইতিমধ্যেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি৷
তবে তৃণমূলের বিদায় তত্ত্বকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস৷ কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের কথায়, ‘‘বহরমপুরের মানুষের মনে অধীর দা পাকাপাকি জায়গা করে রেখেছেন৷ এর আগেও অধীর দার বিপক্ষে অনেক প্রভাবশালীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল’’৷

ভারতীয় রাজনীতির পাতা পালটে দেখলে শুধু ইউসুফ পাঠান একা নন৷ ক্রিকেট ব্যাট ছেড়ে দলীয় পতাকা হাতে ভোটের ময়দানে নেমেছেন অনেকেই৷ যার মধ্যে অন্যতম নাম গৌতম গম্ভীর৷ ২০১৯ সালের ২২ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার৷ সেই বছরই লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লির লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি৷

ঠিক তেমনই উঠে আসে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম৷ ২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতির ময়দানে নামেন তিনি৷ নব্বই’র দশকের তারকা ব্যাটস ম্যান মনসুর আলী খান পতৌদি ১৯৭১ সালে যোগ দিয়েছিলন ভিএইচপিতে৷ হরিয়ানার গুরগ্রাম থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি৷ তবে ক্রিকেটের ময়দানে পারদর্শী হলেও, রাজনীতির ময়দান তাঁর জন্য একেবারেই উর্বর ছিল না৷ ২০০৪ সাল রাজনীতিতে আগমন ঘটেছিল নাভজোৎ সিং সিধুর৷ ২০০৪ সালে বিজেপি দিয়ে শুরু, তারপর আম আদমি পার্টি, আওয়াজ-ই-পাঞ্জাব, জাতীয় কংগ্রেস ঘুরে বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে৷ ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন৷ ক্রিকেটের ময়দান থেকে রাজনীতির ময়দানে হেঁটেছিলেন চেতান চৌহান, বিনোদ কাম্বলি, মনোজ প্রভাকরের মতো ব্যক্তিত্বও৷

তবে রাজনীতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন নবীন তেজস্বী৷ যদিও ভারতীয় টিমে তাঁকে দেখা যায়নি৷ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু পুত্র তেজস্বী ২০১৫ সালে যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলে৷ তাছাড়া বারংবার সামনে উঠে আসে কীর্তি আজাদের নাম৷ ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে বিহারে দারভাঙা থেকে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এই প্রাক্তন খেলোয়াড়৷ ২০১৫ সালে তাঁকে বিজেপি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে৷ ২০১৯ সালে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি৷ অবশেষে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান৷ ২০২২ সালে গোয়া বিধানসভা থেকে তাঁকে প্রার্থীও করে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল৷ শুধু তাই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি৷