• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ইভিএম হ্যাক করা একেবারেই অসম্ভব

বিভ্রান্তি কাটাতে সচেতনতায় জোর দিচ্ছে বিব্রত প্রশাসন খায়রুল আনাম: যে কোনও ভোট এলেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রশাসন ও নির্বাচন দফতরকে৷ এবার লোকসভা ভোট আসতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নেরও উত্থাপন করা হয়েছে৷ বীরভূম জেলায় এই ধরনের প্রশ্ন অত্যন্ত জোরালোভাবে ওঠায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ

বিভ্রান্তি কাটাতে সচেতনতায় জোর দিচ্ছে বিব্রত প্রশাসন

খায়রুল আনাম: যে কোনও ভোট এলেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রশাসন ও নির্বাচন দফতরকে৷ এবার লোকসভা ভোট আসতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নেরও উত্থাপন করা হয়েছে৷ বীরভূম জেলায় এই ধরনের প্রশ্ন অত্যন্ত জোরালোভাবে ওঠায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিউড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে কোনও কারচুপি করা যায় না৷ দু’দশক ধরে এই ব্যবস্থা চলছে লোকসভা ভোটে৷ এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের সময় অভিযোগ তোলা হয়েছিলো যে, নির্বাচন কমিশনকে কুক্ষিগত করে কোনও একটি রাজনৈতিক দল কারচুপি করে একটি দলকে জিতিয়ে দিয়েছে৷ এইসব কারচুপি বন্ধ করতে অনেক সময় ভোটযন্ত্রের পরিবর্তে পুনরায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের কথা বলা হলেও নির্বাচন কমিশন তাকে মান্যতা দেয়নি৷

এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় উত্থাপনকে অপ্রাসঙ্গিক বলেই অভিহিত করা হয়েছে নির্বাচন দফতরের দিক থেকে৷ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের ব্যবহারকেই মান্যতা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ ভোটদান ও ভোট গনণায় বিলম্বে ইতি টানতে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছভাবে ভোট সম্পন্ন করতে এই ব্যবস্থার উপরেই আস্থা রেখেছে৷ গত লোকসভা ভোট থেকেই ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল বা ভিভিপ্যাট৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে আলোচনা এবং ভোটিং মেশিনের ব্যবহার করার বিষয়ে সম্মেলন হয় সেখানে ইভিএম হ্যাক করার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠে৷ কিন্ত্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টত-ই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ভোটিং মেশিনে হ্যাক বা কারচুপি একেবারেই অসম্ভব৷ এবার যে লোকসভা ভোট হবে তাতে প্রতিটি বুথে থাকবে উন্নতমানের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট৷

আগে কোনও কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৬৪ জন প্রার্থী হতে পারতেন৷ বর্তমান এই যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে ৩৮৪ জন প্রার্থী হতে পারবেন৷ কারচুপি ঠেকাতে কখন যন্ত্রটি অন করা হলো আর কখন অফ করা হলো, কখন ভোটগ্রহণ শুরু হলো আর কখন শেষ হলো, সেই সমস্ত সময় দেখা যাবে৷ রাত্রি ১২ টা বাজলেই নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে যন্ত্রটি৷ যার ফলে রাতে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার প্রশ্ন থাকবে না৷ রাত্রি ১২ টার পরেও যদি কোনও ভোট গ্রহণকেন্দ্রে ভোটারদের লাইন থাকে তাহলে নতুন ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে৷ ইভিএম কোনওভাবেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে সংযোগ করা যায় না৷ মোবাইল ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদির সঙ্গেও ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, হটস্পট-এর সঙ্গে এর ফ্রিকোয়েন্সি মেলে না৷ একমাত্র ভিভিপ্যাট ছাড়া অন্য কোনও ডিভাইসের সঙ্গে ইভিএমকে সংযুক্ত করা যায় না বলে জানানো হয়েছে৷