মুম্বই– শহরে পা রেখেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন৷ প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে ব্যাট করতেও দেখা গিয়েছে৷ তবুও শ্রেয়স আইয়ারের চাপ কিন্ত্ত একেবারেই কমছে না৷ বরং আইপিএল শুরু হওয়ার আগে আরও চাপে রয়েছেন কলকাতা নাইট
রাইডার্সের অধিনায়ক ৷
শোনা যাচ্ছে তাঁর পিঠের ব্যথা এখনও পুরো সারেনি৷ আর তাই নাইট তারকাকে ক্রোড়পতি লিগে খেলার জন্য তিনটি বিশেষ শর্ত দিয়েছে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি৷ সেটা মেনে চললে ভালো, আর না হলে ফের একবার বিসিসিআইয়ের রোষের মুখে পড়বেন তিনি৷ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, কয়েক দিন আগে মুম্বইয়ের এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন শ্রেয়স৷ সেই ডাক্তারের নাম আবার এনসিএ-এর স্পোর্টস সায়েন্সের প্রধান নীতিন প্যাটেল প্রস্তাব করেছিলেন৷ সেই ডাক্তার নাকি শ্রেয়সকে তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন৷ কারণ তাঁর দাবি, ডিফেন্স করতে যাওয়ার সময় বেশি ঝুঁকলে শ্রেয়সের পিঠের ব্যথা বাড়তে পারে৷
গত বছর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চতুর্থ টেস্টের আগে প্রথমবার পিঠে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স৷ চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়৷ এমনকি সেইজন্য গত মরশুমে আইপিএল পর্যন্ত খেলতে পারেননি৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ চলার সময়ও পিঠের ব্যথা ফের একবার চাগাড় দিয়েছিল৷ সঙ্গে ছিল ব্যাটে রানের খরা৷ আর তাই দল থেকে বাদ গিয়েছিলেন৷ এর পরেও অবশ্য তাঁকে এই চোট বেশ ভুগিয়েছে৷ বিদর্ভের বিরুদ্ধে রনজি ট্রফির ফাইনাল খেলার ফের পিঠের চোটে আক্রান্ত হন তিনি৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় পুরনো চোট তাঁকে ভোগাতে থাকে৷ সেইজন্য ফিল্ডিং করতে নামেননি৷ তাঁর এমআরআই করানো হয়৷ সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকদের কাছে৷ তার পরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন শ্রেয়স৷
এবার এহেন শ্রেয়স এনসিএ-এর শর্ত মেনে কীভাবে আইপিএল খেলেন সেটাই দেখার৷ নিয়ম মেনে খেললে তাঁর জন্য ভালো৷ আর সেটা না হলে তাঁর চাপ যে আরও বাড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এমনিতেই বিসিসিআইয়ের নির্দেশ অমান্য করে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ গিয়েছেন৷ এবার বোর্ডের প্রস্তাব করা চিকিৎসকের নির্দেশ অমান্য করলে শ্রেয়সকে সম্ভবত আরও বড় শাস্তি পেতে হবে৷