• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলায় দেড় মাস ধরে লোকসভা ভোট

নিজস্ব প্রতিনিধি— লোকসভা ভোটে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯ এপ্রিল৷ শেষ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ১ জুন৷ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে উদ্বেগ স্পষ্ট৷ কারণ, এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোট হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে৷ এপ্রিল-মে মাস জুড়ে ভোট গ্রহণ হবে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে

নিজস্ব প্রতিনিধি— লোকসভা ভোটে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯ এপ্রিল৷ শেষ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ১ জুন৷ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে উদ্বেগ স্পষ্ট৷ কারণ, এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোট হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে৷ এপ্রিল-মে মাস জুড়ে ভোট গ্রহণ হবে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একদফায় ভোট চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত বাস্তবে দেখা গেল, বাংলায় সাত দফায় ভোট হচ্ছে৷ প্রখর গরম থাকবে বাংলায়৷ তাই স্বাভাবিকভাবে প্রচার করার কাজটা যথেষ্ট কঠিন৷ বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো আসনে আগেভাগে ভোট হলে তাহলে সবারই সুবিধা হতো৷ কারণ সেই সময় গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অনেক বাড়বে৷ পশ্চিমাঞ্চলের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে ২৫ মে৷ ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে৷

যদিও সাত দফায় বাংলায় ভোট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, বাংলার মানুষ যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই জন্য একাধিক দফায় ভোট হওয়া জরুরি ছিল৷ কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উল্লেখ্য, গতবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছিল বলে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, বাংলায় শান্তির পরিবেশ নেই বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কমিশনকে একাধিক দফায় ভোট করতে হচ্ছে৷ তা না হলে, এসবের দরকার পড়ত না৷ কমিশনের কাছে আর্জি, যাতে দ্রুত বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠানো হয়৷ তবে সাত দফা ভোট হওয়ার জন্য কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেসও৷

উল্লেখ্য, ২১-এর বিধানসভা ভোট বাংলায় হয়েছিল আট দফায়৷ অতীতের সেই কথা স্মরণ করিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, যত দফায় ভোট হোক না কেন, বাংলায় তৃণমূল অনেক বেশি আসন পাবে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মানুষ যাতে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে৷ ইভিএম এবং ভিভি প্যাটে যাতে কোনও গোলযোগ না থাকে৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবারই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিক দফায় ভোট হয়েছে রাজ্যে৷ তা সত্ত্বেও অশান্তি ঠেকানো যায়নি৷ অনেক বুথের আশেপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা মেলেনি৷ স্বাভাবিকভাবে এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মানুষের আস্থা হারাবে কমিশন৷