• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভালো ফল নিয়ে পাশ করার দাবি শতাব্দীর

মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় শাণ্ডিল্য গোত্র ধরে পুজো খায়রুল আনাম: প্রত্যাশা মতো বীরভূম লোকসভার তিনবারের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কেই যে চতুর্থবারের জন্য তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়ন দিচ্ছে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলো দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকা৷ কলকাতার ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ এপ্রিলের জনগর্জন সমাবেশ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটে

মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় শাণ্ডিল্য গোত্র ধরে পুজো

খায়রুল আনাম: প্রত্যাশা মতো বীরভূম লোকসভার তিনবারের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কেই যে চতুর্থবারের জন্য তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়ন দিচ্ছে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলো দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকা৷ কলকাতার ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ এপ্রিলের জনগর্জন সমাবেশ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২ টি আসনেরই যে তালিকা উচ্চারণে প্রকাশ করেন তাতে দল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তিনবারের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম ঘোষণা করেন চতুর্থবারের জন্য প্রার্থী হিসেবে৷ তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতার আসার দু‘বছর আগে অনেকটা রাজনীতির ‘অ্যাসিড টেস্টের‘ মতো ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সিঙ্গুর আন্দোলনের ধর্ণা মঞ্চে যাওয়া তারকা শতাব্দী রায়কে মহাশ্বেতা দেবীর ‘অনেকখানি পছন্দের প্রার্থী হিসেবে‘ বীরভূমের লালদূর্গে প্রার্থী হিসেবে নিয়ে আসেন৷ সেই সময় নানুরের সূচপুরে গণহত্যায় এগারোজনকে খুনের রক্তে হাত রাঙানো ক্ষমতার দম্ভে উন্মত্ত সিপিএম শতাব্দী রায়ের উপস্থিতিকে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে তাঁকে ‘ভোটের পরিযায়ী পাখি‘ বলে দেগে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলো যে, ভোট ফুরলেই ‘পরাজয়ে মাথা মুড়িয়ে পাউডার মাখা মেয়েটা‘ পালিয়ে যাবে৷ কিন্ত্ত সিপিএমের বাস্তিল দূর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে সে বার ৬১ হাজার ৫১৯ ভোটের ব্যবধানে জিতে সাফল্যের গোঁজ পুঁতে দেন শতাব্দী রায়৷ যে জয়ের ধারা ভোটের ব্যবধানে তিনি বাড়িয়েই চলেছেন৷ ২০১৪ সালে তিনি জয়ী হন ৬৭ হাজার ২৬৩ ভোটের ব্যবধানে৷ তৃতীয়বার তিনি ২০১৯ সালে সাংসদ হন ৮৮ হাজার ৯২৪ ভোটের ব্যবধানে৷ জয়ের সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ভোটে জিতে আবারও সংসদে যেতে ভোট ময়দানে নেমেছেন শতাব্দী রায়৷ কলকাতার ব্রিগেডের জনগর্জন সমাবেশ থেকে নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই বীরভূমে পৌঁছে গেলেন শতাব্দী রায়৷ অতীতের মতো এবারও তিনি শনিবার ১৬ মার্চ তারাপীঠে মা তারার চরণে পুজো দিয়ে এবং দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলেন ভোট প্রচার৷ এবারের ভোটের ফলাফল নিয়ে শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ২০০৯ সালে যখন প্রথম বীরভূমে ভোটে প্রার্থী হই তখন এখানে ‘বন্দেমাতরম‘ শব্দও উচ্চারণ করা যেত না৷ এতোটা ভয়ের পরিবেশ ছিলো৷ কিন্ত্ত মানুষের আশীর্বাদ আমার উপরে থাকায় আমি জয়ী হয়েছি৷ তারপরও জয়ী হয়েছি৷ এবারের জয় সম্পর্কে শতাব্দী রায়ের মূল্যায়ন, আমি সারা বছর খুব ভালো পড়াশোনা করি৷ সুতরাং পরীক্ষায় কোনও অসুবিধা নেই৷ ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাশ করবো৷ যদিও ব্রিগেডের জনগর্জন সমাবেশে শতাব্দী রায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারে নেমে পড়েন৷

নিজের কলকাতার কালীঘাটের বাড়িতে বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ রাত্রে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কপালে গুরুতরভাবে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন৷ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির পাঁচ সদস্য রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, দুই বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহ ও সুদীপ্ত ঘোষ তারাপীঠে মা তারার চরণে বেনারসি শাড়ি দিয়ে পুজোর ডালি সাজিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাণ্ডিল্য গোত্র ধরে আধঘণ্টা ধরে বিশেষ পুজো করা হয়৷ এই পুজোর ডালিতে ছিলো ছ‘রকম ফল, পাঁচ রকম মালা, আলতা, সিঁদুর, শাঁখা, বেনারসি শাড়ি, চুনরি-সহ পুজোর অন্যান্য উপকরণ৷ গর্ভগৃহে গিয়ে সকলে এসব মা তারার চরণে নিবেদন করেন৷