• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মোটা হলেও চাই প্রতিবন্ধী পেনশন, আর্জি খারিজ হল সুপ্রীম কোর্টে

সেনাবাহিনীর কোনও শাখায় কাজ করতে গিয়ে যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন,তাঁদের ডিসঅ্যাবিলিটি পেনশন দেওয়া হয়।বায়ুসেনার এক অফিসারের দাবি, তিনি চাকরি করতে করতে মােটা হয়ে গিয়েছেন।হাইপার টেনশনে ভুগছেন।সুতরাং তাঁকে ডিসঅ্যাবিলিটি পেনশন দেওয়া হােক।সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

সুপ্রীম কোর্ট (Photo: iStock)

সেনাবাহিনীর কোনও শাখায় কাজ করতে গিয়ে যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন, তাঁদের ডিসঅ্যাবিলিটি পেনশন দেওয়া হয়। বায়ুসেনার এক অফিসারের দাবি, তিনি চাকরি করতে করতে মােটা হয়ে গিয়েছেন। হাইপার টেনশনে ভুগছেন।সুতরাং তাঁকে ডিসঅ্যাবিলিটি পেনশন দেওয়া হােক। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ মন্তব্য করে,চাকরির জন্য আপনি কীভাবে মােটা হয়ে যেতে পারেন ? ওবেসিটি হল লাইফ স্টাইলের ফল। অত্যধিক মদ্যপান করার জন্যও কেউ মােটা হয়ে যেতে পারে।

ওই অফিসারের নাম জ্ঞানেন্দ্র সিং। তিনি এর আগে আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনালেও একই দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর আর্জি নাকচ হয়ে যায়।সুপ্রিম কোর্টে ট্রাইব্যুনালের রায়কে বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি শাহ বলেছেন, খাদ্যাভ্যাসের জন্যও কেউ মােটা হয়ে যেতে পারে। ওবেসিটির সঙ্গে চাকরির কোনও সম্পর্ক নেই।

জ্ঞানেন্দ্র সিংয়ের আইনজীবী অনন্ত আগরওয়াল ও শ্বেতা রানি বলেন,চাকরিতে তাঁদের মক্কেলকে যে পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল,তার জন্যই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিচারপতিরা তাঁদের কথায় বিশ্বাস করেননি। এর আগে সেনাবাহিনীর মেডিকেল বাের্ড জ্ঞানেন্দ্রকে পরীক্ষা করে বলেছিল, তাঁর শরীরে কিছু সমস্যা আছে বটে, কিন্তু চাকরির জন্যই সেইসমস্যা দেখা দিয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি গবেষণাপত্র উল্লেখ করে বলে, যাঁরা  ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি গবেষণাপত্র উল্লেখ করে বলে, যাঁরা নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন না, রােজ ব্যায়াম করেন না তাদের ওবেসিটি হতেই পারে।

জ্ঞানেন্দ্র সিংয়ের দাবি, তিনি চাকরিতে জয়েন করার সময় মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। চাকরি জীবনের স্ট্রেস তাঁর ক্ষতি করেছে। তিনি নানা অভিযানে অংশ নিয়েছেন।সেজন্য মাঝে মাঝে তাঁকে প্রত্যন্ত এলাকায় পােস্টিং দেওয়া হত। দিনের পর দিন তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। জ্ঞানেন্দ্র সিং ৩৯ বছর বায়ুসেনায়  চাকরি করেছেন। তিনি অনারারি ফ্লাইং অফিসার হিসাবে রিটায়ার করেন।