বস্তি অঞ্চলে এবার বহুতল নির্মাণে আর কোনও বাধা থাকল না।বস্তি অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা ভেবে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিকা টেন্যান্সির নতুন নিয়মানুসারে আগামী দিনে শহরে কোনও বস্তি থাকবে না।
সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের মতাে গরীব মানুষও নিজেদের পছন্দমতাে জি প্লাস ফোর বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন।এমনকি এর জন্য ব্যাঙ্ক লােনও পাওয়া যাবে । মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় ঠিকা টেন্যান্সি অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রেগুলেশন সংক্রান্ত একটি সংশােধনী বিল পাস হয়েছে।বিলটি গৃহীত হবার পরেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পুর ও নগরােন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিলটিকে সরকারের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ বলে অবহিত করে পুরমন্ত্রী ঘােষণা করেন, আমরা আমেদাবাদ, গুজরাত বা ধারাভি মডেল অনুসরণ করব না।বস্তি অঞ্চলে ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রয়ােজনে লিফটও ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে ঠিকা টেন্যান্সি আইন অনুযায়ী ব্যাঙ্ক লােন না দিলে সেক্ষেত্রে বাংলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।কোনও ঠিকা টেন্যান্ট এবং ভাড়াটিয়া যৌথভাবেও নিজেদের পছন্দমতাে বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন।
বিরােধী দলের সদস্য মিলটন রসিদ এবং মানস মুখােপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান,সরকারি যে সমস্ত খাস জমি পড়ে রয়েছে,বিশেষ করে যেখানে বস্তি রয়েছে, সেই সমস্ত অঞ্চলে বাংলার বাড়ির নির্মাণের ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এটা কার্যকরী হয়েছে।বিএলআরও-কে এব্যাপারে প্রয়ােজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।পুরমন্ত্রী এদিন তাঁর দীর্ঘ ভাষণে বলেন, রাজ্য সরকারের এই বৈপ্লবিক পদক্ষেপের ফলে সাধারণ গরিব মানুষজন উপকৃত হবেন।আর এর জন্য আগামীদিনে কেউ আর বলতে পারবেন না আমরা বস্তিতে বসবাস করি।তাঁর সাফ কথা,এখানে কোনও প্রমােটাররাজ বরদাস্ত করা হবে না।
পুরমন্ত্রীর কথায়,তিনি যে অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সেখানেও বস্তি রয়েছে।তাঁর পূর্বপুরুষও একসময় বস্তিতে বসবাস করতেন।তবে বস্তি অঞ্চলগুলিতে জল সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে।মন্ত্রী বলেন,তিনি এ সম্পর্কে অবহিত আছেন।তিনি আরও জানান,বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন বস্তিতে ঠিকা কন্ট্রোলারকে দিয়ে সমীক্ষা করানাে হয় সমস্ত নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে।আমরা চাই, বস্তিবাসীরা যাতে কোনও অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।তাঁর কথায় জনপ্রতিনিধিরা পলিসি মেকিং-এর কাজ করে থাকেন।আর ঠিকা টেন্যান্সির কালেক্টররা তা কার্যকরী করবেন।
বিলটির প্রয়ােজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,কলকাতার বিভিন্ন বস্তিতে বহু গরিব মানুষ বসবাস করেন।এরা কলকাতা ছেড়ে চলে যাবেন তা হতে পারে না। এখন থেকে এরাও ভালােভাবে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে পারবেন।মন্ত্রীর কথায়,মানুষ ভালাে থাকলে সরকার ভালাে থাকবে ,দেশও ভালাে থাকবে।একথা সকলকে মনে রাখতে হবে।