• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রসূনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই ভাইয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ মমতার

কলকাতা, ১৩ মার্চ: প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তৃণমূলের প্রার্থী করা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় তৃণমূলের এই সাংসদকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, তাঁকে নিয়ে এলাকায় অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তাছাড়া উনি সাংসদ তহবিলের টাকা ঠিকমত খরচ করেননি। তিনি যে প্রসূনকে প্রার্থী হিসেবে মানতে রাজি নন, তা সংবাদ মাধ্যমের সামনে

কলকাতা, ১৩ মার্চ: প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তৃণমূলের প্রার্থী করা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় তৃণমূলের এই সাংসদকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, তাঁকে নিয়ে এলাকায় অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তাছাড়া উনি সাংসদ তহবিলের টাকা ঠিকমত খরচ করেননি। তিনি যে প্রসূনকে প্রার্থী হিসেবে মানতে রাজি নন, তা সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে রীতিমতো বিদ্রোহের সুর মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের গলায়। তিনি প্রসূনের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন।

এদিকে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টি নিয়ে আজ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। সেখান থেকেই বাবুন ও অর্জুনের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন মমতা। তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেউ একটু বড় হলেই তাঁর লোভ বেড়ে যায়। আজ থেকে ওর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আমাদের পরিবার একটি বড় পরিবার। বাবা যখন মারা যান, তখন ওর (বাবুন) বয়স মাত্র আড়াই বছর। আমি দুধের ডিপোতে কাজ করে মাত্র ৪৫ টাকা পেতাম। সেই টাকায় ওদের মানুষ করেছি। বিজেপি ২৫ কোটি পরিবারকে ভেঙেছে। এবার আমার পরিবারেও ভাঙ্গনের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত পরিবারে বিশ্বাস করি না। আমি মানুষের পরিবার মানি। যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। হাওড়ায় আমাদের প্রার্থী প্রসূনই থাকবে।’

তবে সকালে তিনি সুর চড়ালেও দল সম্পর্কে এখন অনেকটা নরম মনোভাবাপন্ন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া শোনার পর তিনি বলেন,’দিদি আমাকে মারুক, ধরুক আমি তাঁর কাছে বারবার যাব।’ মমতা পরিবার থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’এটা দিদির আশীর্বাদ হিসেবে আমি মনে করি।’ পাশাপাশি, তিনি নির্দল প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যা করার, দিদির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’ যদিও এই জল কোনদিকে গড়ায়, সেদিকে এখন তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক মহল।