দিল্লি, ১২ মার্চ– সুন্দর করে সাজানো বিয়ের আসর৷ গোটাটাই বুলেটপ্রুফ৷ চারিদিকে শুধু পুলিশ আর পুলিশ৷ বিয়েতে হাজির অতিথিদের ঢুকতে হচ্ছে নিজেদের পরীক্ষা করানোর পর৷ বিয়ে বাড়িতে ঢোকার দুটি পথই মেটাল ডিটেক্টরের গেট৷ এতদূর শুনে ভাবছেন নিশ্চই কোনও না কোন বড়মাপের নেতা কিম্বা রাজনীতিকের বিয়ের আসর৷ একদমই না এই আসর বসেছে ভারতের দুই নামকরা গ্যাংস্টার কালা জাঠেড়ি এবং লেডি ডন অনুরাধা চৌধুরির৷
এদিন চার হাত এক হল অনুরাধা চৌধুরি ওরফে ম্যাডাম মিঞ্জ ওরফে রিভলবার রানির এবং কালা জাঠেড়ি ওরফে সন্দীপের৷ দিল্লির দ্বারকা এলাকায় একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে তাঁদের বিয়েতে ‘অতিথি’ ছিলেন ২৫০-র বেশি পুলিশ কর্মী এবং স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড টেকনিক্সের (এসডব্লুএটি) কমান্ডো বাহিনী৷ তাঁদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র৷ ব্যাঙ্কোয়েট হলে ঢোকা-বেরনোর উপর নজর রাখতে প্রত্যেক আমন্ত্রিতের হাতে বারকোড লাগানো ব্যান্ড পরানো হয়৷ এছাড়াও সিসিটিভি ও ড্রোন ঘোরাফেরা করে বিয়ের আসরের মাথার উপর দিয়ে৷
দ্বারকা সেক্টর ৩-এ সন্তোষ গার্ডেনে বিয়ে হল মঙ্গলবার৷ সন্দীপের আইনজীবী এটা ৫১ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন৷ গ্যাংস্টারের দলবল তাঁকে তুলে নিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা ছিল বিয়েবাডি় এবং তার আশপাশে৷ এককালে তার মাথার দাম ছিল ৭ লক্ষ টাকা৷
বিয়ের জন্য দিল্লির আদালত দুজনকে তিহার জেল থেকে সকাল ১০টা-৪টে পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল৷ জঠেরির স্ত্রী অনুরাধারও অনেক ডাকনাম রয়েছে অন্ধকার জগতে৷ যেমন, লেডি ডন, ম্যাডাম মিঞ্জ এবং রিভলবার রানি৷ সেও বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি৷ আগামিকাল, বুধবার ‘নববধূর গৃহপ্রবেশ’ অনুষ্ঠান আছে বেলা ১১টা নাগাদ৷ হরিয়ানার সোনিপতে জঠেরির গ্রামের বাডি়তে সেই আচার-অনুষ্ঠান হবে৷ সেখানে নবদম্পতি নিজেদের সংসারে পা রাখবে৷ বেশ কয়েকটি অভিযোগে জঠেডি় তিহার জেলে রয়েছে৷ অনুরাধা কালার গ্যাংয়েরই সদস্য৷ আগে মৃত গ্যাংস্টার আনন্দপাল সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গিনী ছিল৷ তার বিরুদ্ধেও তোলাবাজি, অপহরণ, খুনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে৷ আপাতত সে জামিনে মুক্ত রয়েছে৷