• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শিশু কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলেন বাবা

হিসার , ১১ মার্চ – শিশু কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলেন বাবা। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার হিসার এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি বছর ৩৫ -এর সন্দীপ গোয়েল। তিনি পেশায় অধ্যাপক ছিলেন। হিসারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। আট বছরের কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন , স্ত্রীকে

হিসার , ১১ মার্চ – শিশু কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলেন বাবা। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার হিসার এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি বছর ৩৫ -এর সন্দীপ গোয়েল। তিনি পেশায় অধ্যাপক ছিলেন। হিসারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ।

আট বছরের কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন , স্ত্রীকে একথা জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁর স্বামী। বহু ক্ষণ বাড়ি না ফেরায় সোজা স্বামীর অফিসে চলে যান তরুণী। অফিসের দরজা খুলতেই পিতা এবং কন্যার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তিনি। পুলিশের দাবি, নাবালিকা কন্যাকে খুন করে আত্মহত্যা করেন তরুণ। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার হিসার এলাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
 পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সাল থেকে হিসারের বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন সন্দীপ। তাঁর স্ত্রীর দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন বলে স্কুটারে চেপে রওনা হন সন্দীপ। বহু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফিরছিলেন না সন্দীপ। খোঁজ করতে সোজা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান সন্দীপের স্ত্রী।
 

জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা এবং রেডিয়োলজি বিভাগের সামনে সন্দীপের স্কুটার দাঁড় করানো রয়েছে, তিনি দেখতে পান। সন্দীপের অফিসের সামনে গিয়ে দেখতে পান দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের তিনিই খবর দেন। এর পর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার পর স্বামী ও কন্যার দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে দেখতে পান ।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেয় ফরেনসিক দল । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে সার্জিকাল ব্লেড দিয়ে মেয়েকে খুন করেন বাবা। এর পর সেই একই ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন সন্দীপ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সন্দীপের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল তা জানার চেষ্টা করছে হরিয়ানা পুলিশ।