• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোদীর হাত কপালে ছোঁয়ালেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শনিবার উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় ছিলেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিন প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবাংলায় প্রবেশ করার অনেক আগেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে স্বাগত জানিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে মঞ্চে নিয়ে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। নরেন্দ্র মোদী মঞ্চে আসার আগে রাজ্য বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শনিবার উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় ছিলেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিন প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবাংলায় প্রবেশ করার অনেক আগেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে স্বাগত জানিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে মঞ্চে নিয়ে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। নরেন্দ্র মোদী মঞ্চে আসার আগে রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতার মতো তিনিও কিছুক্ষণ বক্তৃতা করার সুযোগ পান।

তবে রাজনৈতিক বক্তৃতায় অপটু হওয়ায় সেই বক্তৃতায় তেমন ‘ঝাঁজ’ ছিল না। যদিও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন তিনি।তবে অভিজিতের আসল অপেক্ষা ছিল মোদীর জন্য। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে তাঁর। কাছাকাছি বসার সুযোগও পেয়েছেন। মোদীর বাড়ানো হাত নিজের দু’হাতে ধরে নিজের কপালে ছুঁইয়েছেন। আর একেবারে সভার শেষে মোদীর কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি।শনিবার অসম এবং অরুণাচল সফর সেরে শিলিগুড়ি পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয় মোদীর। এর পরে সরকারি কর্মসূচির আগে ১২ কিলোমিটার রোড শো হয় শিলিগুড়ি শহরে। মোদী পরে বলেন, ওই রোড শোয়ের তেমন কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না।

ঠিক ছিল, বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথে কাওয়াখালিতে কর্মসূচির মঞ্চে আসবেন। কিন্তু রাস্তার পাশে মানুষের উত্‍সাহ দেখে তিনিই চালককে বলেন, ধীরে গাড়ি চালাতে।সরকারি কর্মসূচির মঞ্চ থেকে নেমে শেষে প্রধানমন্ত্রী যখন বিজেপির দলীয় মঞ্চে ওঠেন, তখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। সেই অস্তগামী সূর্যই সাক্ষী থাকল একটি দৃশ্যের। মঞ্চের মধ্যমণি মোদীর বাঁ-দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডানদিকে বসেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের পাশের আসনেই অভিজিত্‍। মোদী নিজের আসনে বসতেই শুভেন্দু প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন অভিজিতের সঙ্গে। মোদী হাত বাড়িয়ে দেন করমর্দনের জন্য। অভিজিত্‍ শুধু হাত মিলিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দু’হাতে মোদীর বাড়ানো হাত ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান।

সবে বৃহস্পতিবার তিনি বিজেপিতে  যোগ দিয়েছেন । তিন দিনের মাথায় মোদীর সভায় ডাক পেয়ে নতুন সাজেই গিয়েছিলেন অভিজিত্‍। সাদা পাজামার উপর গেরুয়া পাঞ্জাবি। তার উপরে মোদী জ্যাকেট এবং ঘিয়ে রঙের উত্তরীয়। সকালেই সভায় যাওয়ার পথে সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, ”আমি অভিভূত, আমার শিহরণ হচ্ছে। এই প্রথম ওঁকে আমি কাছ থেকে দেখব।” মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন?

অভিজিত্‍ বলেছিলেন, ”অবশ্যই কথা বলার চেষ্টা করব। বিজেপি যে ভাবে আমাকে বুকে টেনে নিয়েছে তাতে আমি অভিভূত।”শিহরণ যে বাস্তবিকই তাঁর মধ্যে ছিল, তা অভিজিতকে মঞ্চে দেখে বোঝাও গিয়েছে। সভার শুরুতে মোদী ওই ভাবে যে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দেবেন, সেটা সম্ভবত তাঁর ভাবনার মধ্যে ছিল না। কিন্তু তখন কথা বলার সুযোগ পাননি। সেই সুযোগ এসে গেল সভা শেষের পরে। মঞ্চ থেকে নামার আগে মঞ্চাসীনদের নমস্কার জানাতে জানাতে এগিয়ে যাওয়ার সময়ে দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার পিঠে হাত দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পরেই অভিজিতের হাত দু’টি ধরে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মোদী। কী বললেন মোদী? কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, মোদী অভিজিতের সাহসের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, ”আপনে বহত হিম্মত দিখায়া।” অর্থাত্‍, বিচারপতি থাকার সময়ে অভিজিত্‍ প্রচুর সাহস দেখিয়েছেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।