দিল্লি, ৮ মার্চ – চিন সীমান্তে অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সম্প্রতি চিন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনের আগ্রাসন রুখতে এবং বিরোধপূর্ণ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতেই বাড়তি সেনা মোতায়েন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সেনা সূত্রে খবর, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় ৯০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সেনাকে ফাইটিং কমান্ডের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সেনা আধিকারিক। হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ৫৩২ কিলোমিটার চিন সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনে বিরোধপূর্ণ চিনা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সেনবাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এর আগে, ২০২১ সালে চিন সীমান্তে টহলের জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে এখনও পর্যন্ত দুই দেশের সেনা পর্যায়ে ২১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হলেও, বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকায় রফাসূত্র মেলেনি এখনও।যদিও ভারত হাল ছাড়তে নারাজ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমধানের পক্ষে মতামত রেখেছে ভারত। বিরোধপূর্ণ সীমান্ত গুলি উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ সংলগ্ন।
উত্তরাখণ্ড পরিচিত দেবভূমি নামে। এই অঞ্চলকে তীর্থযাত্রী তথা পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।গড়ে তোলা হচ্ছে উপযুক্ত পরিকাঠামো। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই চিন সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গালোয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপরই সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ভারত ও চিন সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে। ২০১৩ সাল থেকে সীমান্ত বিরোধ দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।