• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পরীক্ষার সূচি এবং অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার পরও পরীক্ষা নিতে ভুলে গেল বিশ্ববিদ্যালয়

ভোপাল, ৬ মার্চ –  পরীক্ষার সূচি এবং অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে দেওয়ার পরও পরীক্ষা নিতে ভুলেই গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েও পরীক্ষা দিতে পারলেন না শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পরিচালনকারী বিভাগের দাবি পরীক্ষার নেওয়ার কথা তাদের মনেই ছিল না।  মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের রানি দুর্গাবতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সতর্ক  হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়

ভোপাল, ৬ মার্চ –  পরীক্ষার সূচি এবং অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে দেওয়ার পরও পরীক্ষা নিতে ভুলেই গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েও পরীক্ষা দিতে পারলেন না শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পরিচালনকারী বিভাগের দাবি পরীক্ষার নেওয়ার কথা তাদের মনেই ছিল না।  মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের রানি দুর্গাবতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সতর্ক  হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে তদন্ত  শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই, এই নজিরবিহীন ঘটনার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অবহেলা করার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। হাতে কালো ব্যান্ড পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে, তার আগেই এই লজ্জাজনক ঘটনা নিয়ে, সব বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য। এনএসইউআই বৈঠকস্থলের বাইরে ধরনায় বসেন।

২০ দিন আগে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি সেই মতো পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ডও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পরীক্ষার ব্যবস্থাই নেই। শুধু তা-ই নয়, পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়, ‘‘কোনও পরীক্ষা হবে না!’’ এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা।
মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের রানি দুর্গাবতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের কথায়, তাঁদের স্নাতক স্তরের কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয় ৫ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু। জানানো হয়েছিল ৫ মার্চ সকাল ১০টায় পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার জন্য অ্যাডমিট কার্ডও দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার যখন পরীক্ষা দিতে যখন আসেন  তখন জানানো হয় যে কোনও পরীক্ষা নেই। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয় কোনও প্রস্তুতিও নেয়নি বলে অভিযোগ। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা সারা রাত জেগে প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে জানতে পারি কোনও পরীক্ষাই হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় নাকি ভুলেই গিয়েছে পরীক্ষা নেওয়ার কথা।’’ তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষার কথা বিশ্ববিদ্যালয় বেমালুম ভুলে গিয়েছে। ওই দিনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কোনও প্রশ্নপত্রই তৈরি করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর নেতা সচিন রজকের কথায়, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে গাফিলতির একটি গুরুতর ঘটনা । পরীক্ষা পরিচালনার কথা তারা কী ভাবে ভুলে যেতে পারে? পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এভাবে তাঁদের হয়রান করা হল। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার বিষয়।’ পরীক্ষা দিতে না পেরে পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কেন এমন ঘটল তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর কে ভার্মার নজরে বিষয়টি আসতেই বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করে দেখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য বলেন, “বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।  এর জন্য কে বা কারা দায়ী, তা তদন্ত হলেই জানা যাবে। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”