• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতে ৭ কোটি শিশু ২৪ ঘন্টা অভুক্ত, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক দলের সমীক্ষার রিপোর্ট  

দিল্লি, ৫ মার্চ – ভারতে ৭ কোটি শিশুকে ২৪ ঘন্টা অভুক্ত থাকতে হয়। সারাদিন তাদের কোন খাবার জোটে না। দেশজুড়ে খাবারের বিপুল আয়োজন আর অপচয়ের সঙ্গে অভুক্তের এই বিপুল সংখ্যা খুবই সামঞ্জস্যহীন। বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে এবং ভারত সরকারের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাপারে প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং আর্থিক

দিল্লি, ৫ মার্চ – ভারতে ৭ কোটি শিশুকে ২৪ ঘন্টা অভুক্ত থাকতে হয়। সারাদিন তাদের কোন খাবার জোটে না। দেশজুড়ে খাবারের বিপুল আয়োজন আর অপচয়ের সঙ্গে অভুক্তের এই বিপুল সংখ্যা খুবই সামঞ্জস্যহীন। বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে এবং ভারত সরকারের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাপারে প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু পাকিস্তানের থেকেও করুণ  অবস্থা ভারতের। এমনকী তথ্যে উঠে এসেছে পশ্চিম আফ্রিকার বহু দেশের থেকে ভারত পিছিয়ে রয়েছে। 

পশ্চিম আফ্রিকার গিনি এক দরিদ্র দেশ। যেখানে ২১.৮ শতাংশ শিশুর দু-বেলা খাওয়া জোটে না। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালি। ওই দেশের ২০.৫ শতাংশ শিশু বছরের বহুদিন অনাহারে থাকে। ভারতে জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য নমুনা সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে , এই দেশে ২ থেকে ৬ বছর বয়সি ছয় কোটি ৭০ লাখ শিশু সারাদিনে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কোনও খাবার পায় না। আবার অনাহার, অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরা সন্তানকে পর্যাপ্ত বুকের দুধ দিতে পারেন না। অন্যদিকে, অনাহারে থাকা এমন শিশুর সংখ্যা বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৯.২ শতাংশ। যার শতাংশ ভারতে ১৯.৩। 

স্বল্প ও মধ্য আয়ের ৯২টি দেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এসভি সুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বাধীন গবেষক টিমের এই বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক স্তরের বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা জামা নেটওয়ার্ক ওপেন। 

বিশ্বের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এই সমীক্ষায় যুক্ত থেকে বিশ্বে শিশুদের অনাহারের চিত্রটি প্রকাশ করেছেন। ভারতের হয়ে ওই সমীক্ষা দলে ছিলেন বিশিষ্ট শিশু ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বন্দনা প্রসাদ। তিনি অভুক্ত শিশুদের সমস্যার অন্যতম কারণ হিসাবে দারিদ্রকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, খাবার কিনতে না পারাই একমাত্র সমস্যা নয়। আসলে বাবা-মা’কে রুটিরুজির সন্ধানে সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। ফলে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর কেউ বাড়িতে না থাকাটাও অভুক্ত থাকার অন্যতম কারণ।