• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সাংসদ ও বিধায়কদের ভোট কেনাবেচায় রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি, ৪ মার্চ: ভোটের বদলে নোট মামলায় চাঞ্চল্যকর রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। দল বদল ও ঘোড়া কেনাবেচা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ বলে আইন বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। নোটের বদলে আইনসভায় ভোটদানে অভিযুক্ত বিধায়ক ও সাংসদদের আর কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই

দিল্লি, ৪ মার্চ: ভোটের বদলে নোট মামলায় চাঞ্চল্যকর রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। দল বদল ও ঘোড়া কেনাবেচা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ বলে আইন বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। নোটের বদলে আইনসভায় ভোটদানে অভিযুক্ত বিধায়ক ও সাংসদদের আর কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও সাংসদ অথবা বিধায়ক ঘুষ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। ১৯৯৮ সালে এই সংক্রান্ত একটি রায়ের সম্পূর্ণ উল্টো রাস্তায় হাঁটল আদালত। কারণ, সেই রায় সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ ধারার পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত ভারতীয় রাজনীতিতে টাকার বিনিময়ে সাংসদ ও বিধায়কদের দল বদল ও ঘোড়া কেনাবেচার গোপন রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কংগ্রেস ও বিজেপি সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগ রয়েছে। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সেই বেঞ্চে চন্দ্রচূড় ছাড়াও রয়েছেন এস বোপান্না, এমএম সুন্দ্রেশ, পিএস নরসিংহ, জেবি পার্দিওয়ালা, সঞ্জয় কুমার এবং মনোজ মিশ্র।

এই মামলা প্রসঙ্গে উঠে আসে পিভি নরসিমা রাওয়ের ১৯৯৩ সালে সরকারের সঙ্কটের প্রসঙ্গ। সেবার নরসিমা রাও সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৫ এবং বিপক্ষে ২৫১টি ভোট পড়ে। এরপর অভিযোগ ওঠে সাংসদরা টাকার বিনিময়ে ভোট দিয়েছেন। এব্যাপারে বিশেষভাবে অভিযুক্ত হন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা। তিনি টাকার বিনিময়ে পি ভি নরসিমা রাওয়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত এই মামলায় ১৯৯৮ সালে একটি রায় দেয়। সেই রায়ে বলা হয়, সাংসদ বা বিধায়ক, যাঁরা আইন প্রণয়নের কাজে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ উঠলেও কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এই আইন ভারতীয় সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ ধারার বিরোধী হলেও এতদিন সেটা কার্যকর ছিল। এবার সেই আইন বাতিল হল।

ফলে এবার থেকে সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া এবং টাকার বিনিময়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠলেই পদক্ষেপ করা যাবে। আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া চালানো যাবে। এই রায়ের পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯৮ সালের রায় সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল।