দিল্লি, ১ মার্চ– পরিবারের কারও কোনল অসুখ করলেই মাথায় হাত সাধারণ মানুষের৷ সে সুগার হোক বা প্রেসার৷ ওষুধ কিনতেই পকেটে টান মধ্যবিত্তের৷ আর দিন দিন ওষুধের দাম বৃদ্ধির খবরে আরও দুশ্চিন্তা বাড়ছে আমজনতার৷ পরিস্থিতি এমন যে মাসিক খরচের অর্ধেক বাজেটও যেন মাঝে মাঝে কম পড়ে কারোর৷ তবে এবার এই অবস্থায় স্বস্তির বাতাস বইল৷ কেন্দ্রীয় সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ডায়াবিটিস, ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ বেশিরভাগ পরিবারেরই দরকার পড়ে৷ সেই ওষুধ কিনতে এবার ঘাম ঝরবে না মানুষের৷ কারণ এই ওষুধগুলি সহ ৬৯টি ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷
এদেশে সাডে় আট থেকে দশ কোটি মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত৷ যাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই জিনগত রোগে ভুগছেন৷ ফলে এই ধরনের রোগের উপসর্গগুলি সহজে অল্প বয়সেই সহজে চিহ্নিত করা যায়৷ একই সঙ্গে রোগীর সুস্থতার জন্য দ্রুত চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে৷ সেই চিকিৎসারই খরচ অনেকটা কমেছে৷
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি জানিয়েছে, এই ধরনের ওষুধগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা ৮ টাকা ৯২ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা পর্যন্ত রাখা হয়েছে৷ আগামী দিনে আরও বহু ওষুধের দামের ক্ষেত্রেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে৷ গত মাসেই ২৮ ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধের দাম কমানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে৷ এছাড়া কোলেস্টেরল ও ব্যথার ওষুধের মূল্যও অনেকটা কমেছিল৷ সব মিলিয়ে ৩৯ ধরনের ওষুধের দাম কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ এক মাসের মধ্যেই আবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম কমানো হল৷ নতুন বছরে এ নিয়ে তিন দফায় ওষুধের দাম কমেছে৷ গত নভেম্বর মাসে আবার বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র৷ তার ফলে চিকিৎসার খরচ একলাফে ১০০ গুণ কমে যাওয়ায় বাড়তি স্বস্তি পেয়েছিল সাধারণ মানুষ৷
এক বছরে ওষুধ কোম্পানিগুলি চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করেছিল৷ জেনেটিক ও শিশু রোগের এইসব ওষুধের দামই কমানো হয়েছে৷