সিমলা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: বিহারের পর হিমাচলেও অপারেশন লোটাস। গতকাল রাজ্যসভা নির্বাচনে হিমাচল বিধানসভার ৪০ বিধায়কের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির জেতা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু হিমাচলে দেদার ক্রস ভোটিংয়ের ফলে রাজ্যসভায় জিতলেন বিজেপি প্রার্থী। রাজ্যের শাসক শিবিরের ৯টি ক্রস ভোটিংয়ের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি পরাজিত হন। তাঁর জায়গায় জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন। এই ৯টি ক্রস ভোটিংয়ের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের ৬টি ও বিজেপি-র ৩টি। রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে জয়রাম মুখ্যমন্ত্রী সুখুর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুর।
আর এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। মোদ্দা কথায়, রাজ্যের বর্তমান কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ বিহারের পর হিমাচলেও অপারেশন লোটাস। সেজন্য রাজ্যসভায় দেদার ক্রস ভোটিংয়ে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের একদিন পরেই পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আজ, বুধবার সকালে হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ধ্বনি ভোটের বদলে ডিভিশন ভোটের দাবি তুলেছেন। ফলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি-র দাবি মতো ডিভিশন ভোট কার্যকর হলে রীতিমতো ফ্যাঁসাদে পড়বে সেখানকার কংগ্রেস শাসিত সুখু সরকার। সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার বাজেট পাশে ব্যর্থ হলে স্বভাবতই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। আস্থা ভোটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণেও ব্যর্থ হবে।
এদিকে বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেছেন,”এত বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, কংগ্রেস রাজ্যসভার আসন হারিয়েছে। এজন্য আমি হর্ষ মহাজনকে অভিনন্দন জানাই।” রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে জয়রাম মুখ্যমন্ত্রী সুখুর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের সুখু সরকারের সঙ্কট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। গতকাল রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী জয়ের পর আজ রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেন এক মন্ত্রী। সুখু মন্ত্রিসভার পিডব্লিউডি বিভাগের ওই মন্ত্রীর নাম বিক্রমাদিত্য সিং। তিনি হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র।