• facebook
  • twitter
Tuesday, 24 September, 2024

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’-এর অনুকরণে ‘দুয়ারে ডাকঘর’ 

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’-এর অনুকরণে ‘দুয়ারে ডাকঘর’ পরিষেবা নিয়ে এল রাজ্যের ডাক ব্যবস্থা ।  মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম পরিষেবা দিতে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগ। গ্রাম থেকে শহর , মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছতে খোলনলচে বদলাচ্ছে ডাক বিভাগ। বিমানবন্দরে লাগেজ পার্সেল থেকে শুরু করে প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য পৃথক

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’-এর অনুকরণে ‘দুয়ারে ডাকঘর’ পরিষেবা নিয়ে এল রাজ্যের ডাক ব্যবস্থা ।  মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম পরিষেবা দিতে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগ। গ্রাম থেকে শহর , মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছতে খোলনলচে বদলাচ্ছে ডাক বিভাগ। বিমানবন্দরে লাগেজ পার্সেল থেকে শুরু করে প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা- এমনই নানা ধরণের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে ডাক বিভাগ।     
২০২৪-এর মার্চ মাসে কলকাতা ডাকঘরের ২৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকা বদলেছে ডাকঘরের। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ দুয়ারে ডাকঘর ‘ পরিষেবা নিয়ে এসেছে ভারতের ডাকব্যবস্থা। এর মধ্যে অন্যতম পার্সেল বুকিং।  কেউ যদি পার্সেল পাঠাতে চান , সেক্ষেত্রে হেল্পলাইনে ফোন করে পার্সেল বুক করা যাবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক যে ঠিকানা দেবেন , সেখানেই গিয়ে হাজির হবেন ডাক বিভাগের কর্মীরা। বাড়ি থেকে সংগ্রহ করবেন সেই পার্সেল। পরিষেবার জন্য পারিশ্রমিক তখনই সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হবে।  এর পাশাপাশি পেনশন এবং ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা নিয়ে ডাকবিভাগ পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের বাড়ির দরজায়, গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায়।  মঙ্গলবার কলকাতা জিপিও-র ২৫০ বছর-এর ‘লোগো’ উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল-এর চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল শ্রী নীরজ কুমার। এদিন তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যুগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ডাক পরিষেবা ব্যবস্থাতেও যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে ভারতের ডাকব্যবস্থা।
 
আজ থেকে ২৫০ বছর আগে যাত্রা শুরু হয় কলকাতা জিপিও-র। মানুষের সঙ্গে মানুষের সেতু বন্ধন করতে যে ডাক ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয় , বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার ভূমিকা বদলেছে। একইভাবে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থাও নিজেদের কর্মের পরিধি ব্যাপ্ত করতে ভেঙ্গে-গড়ে সময়োপযোগী হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল শ্রী নীরজ কুমার জানান, ডাক ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে তাঁরা সমস্ত ব্যবস্থাকে কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। তাঁর কথায় , ‘বর্তমান সময়ে ডাক ব্যবস্থা সংক্রান্ত পরিষেবা পেতে ডাকঘরের দরজায় যেতে হয় না, ‘লগ ইন’ করলেই হাতের মুঠোয় পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহকেরা।
কিছু ক্ষেত্রে পরিষেবা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রবীণ, বয়স্ক গ্রাহকদের জন্য পৃথক কাউন্টার, পেনশন ব্যবস্থাকে মানুষের বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়া, পেনশন আদালতের কাজে গতি নিয়ে আসা – এমনি নানা কাজের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে ডাক ব্যবস্থা।  এমনকি বিমানবন্দরে যাত্রীদের অতিরিক্ত লাগেজ  ডাক ব্যবস্থা মারফত পার্সেল করে দেওয়ারও ব্যবস্থা করে হয়েছে বলে তিনি জানান।