কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি – ‘ব্রিকস’ (BRICS )এক বিকল্প – ভারতের জন্য সম্ভাবনা এবং উদ্বেগ -শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী জাতীয় স্তরের আলোচনাসভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল কলকাতার অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ টেগোর অডিটোরিয়ামে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স-নিউ দিল্লি-র পৃষ্ঠপোষকতায় এবং কলকাতা অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালযে উদ্যোগে এবং এইচ পি ঘোষ রিসার্চ সেন্টার এবং নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিস, কলকাতার সহযোগিতায় ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দু’দিনব্যাপী এই আলোচনাসভায় অংশ নেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক ও আমলারা। এছাড়াও এই আলোচনাসভায় অংশ নেন অধ্যাপক, শিক্ষক, মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন। অনুষ্ঠানে অংশ নেন অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির উপর বৈচিত্র্যপূর্ণ আলোচনার জন্য ভারতের পূর্ব অংশে বৌদ্ধিক বা বুদ্ধিমত্তা নির্ভর রাজধানী গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চ্যান্সেলর সমিত রায় বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে ‘ব্রিকস’ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। তিনি বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন যে, ব্রিকস-এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ভারত একটি স্থিতিশীল গুণক হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিকস’ একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে যা বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে বিভিন্ন নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করছে। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ, প্রযুক্তিগত আদান-প্রদানের পাশাপাশি কৃষি, বিজ্ঞান ও জ্বালানিতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।
এই আলোচনাসভায় অংশ নেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত , উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অমিতাভ মাট্টু অধ্যাপক বরুন সাহনি, প্রমুখ। ভারত বহুপাক্ষিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, তেমনি ব্রিকস হতে পারে পরিবর্তিত বিশ্বের এক নতুন বিকল্প। উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলে ভারতের রাষ্ট্রদূত হাসিজয়ানস্কি ডে নোব্রেগা , কলকাতায় রাশিয়ান ফেডারেশনের কনসাল জেনারেল আলেক্সেই এম ইদামকিন -এর মতো বিশিষ্ট জন।
তাঁরা ভারতের উদীয়মান ভূমিকার কথা তুলে ধরেন যা বিশ্বকে এক গতিশীল পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে।