লখনৌ, ২৫ ফেব্রুয়ারি: ইন্ডিয়া জোটে রাহুল গান্ধী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মধ্যে ফের গড়ে উঠল উষ্ণ সম্পর্ক। কয়েক সপ্তাহ ধরে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের পর মিলল রফাসূত্র। উত্তরপ্রদেশে আশিটি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে কংগ্রেস থিতু হতেই রফা হয়ে যায় এসপি ও ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো আসনটি সমাজবাদী পার্টিকে ছেড়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। এই আসনে এসপি-র প্রার্থীকে সমর্থন করবে কংগ্রেস। এই সমীকরণে দুই দলের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। আর আজ সেই উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে “রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”য়। উত্তরপ্রদেশে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় রবিবার অংশ নেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এদিন ন্যায় যাত্রায় রাহুলের পাশাপাশি ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করেছে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে সেই ন্যায় যাত্রায় আহবান জানানো হয় সমাজবাদী পার্টি ও তার প্রধানকে। কিন্তু মাঝপথে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও এসপি-র আসনরফা নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। অখিলেশ জানিয়ে দেন, তাঁদের শর্ত না মানলে তিনি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় অংশ নেবেন না। ফলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস এবং এসপি একসঙ্গে লড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই টানাপোড়েন চলতে থাকে। যার জেরে উত্তরপ্রদেশে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্য প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়ায়। গত বুধবার জোটের একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এদিন লখনৌতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করেন দুই দলের নেতারা।
এর আগে চলতি বছরের গোড়ার দিকে অখিলেশ আগে বাড়িয়ে একটি ঘোষণা করে দেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ১১টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের তরফে এই রফার কথা অস্বীকার করা হয়। ‘হাত’ শিবিরের শীর্ষ নেতারা বলেন, আলোচনা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এরইমধ্যে সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশে ১৬টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিতেই গোল বেঁধে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়ে অখিলেশের দল কংগ্রেসকে ১৫টি আসন ছাড়তে সম্মত হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে প্রথমে ২৮টি আসন দাবি করা হয়েছিল। শেষমেশ গত শনিবার অখিলেশ শিবির কংগ্রেসকে ১৭টি আসন ছাড়ার প্রস্তাবে ‘হাত’ শিবির সম্মত হতেই রফা চূড়ান্ত হয়ে যায়।