দিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি– বিশ্বকে এক ভয়াবহ সর্বনাশের দোড়গোড়ায় দাড় করানো অতিমহামারি করোনা বর্তমানে আমাদের স্মৃতিতে অনেকটাই আবছা৷ বিশ্ব ফিরছে তার স্বাভাবিক ছন্দে৷ সেই ছন্দেই ফিরতে চাইছে ভারতীয় ে রলও৷ করোনা আগে ফিরতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল রেল দফতর৷
করোনাকালে চালু হওয়া স্পেশাল ট্রেন আর চলবে না৷ ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে তা কমতে শুরু করেছে৷ খুব তাড়াতাডি় সব স্পেশাল ট্রেনই বন্ধ করে দেবে রেল৷ তার পরিবর্তে পুরনো নিয়মে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে৷ ট্রেন ছাড়াও এই সিদ্ধান্তে রয়েছে ভাড়াও৷ এখনও পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেনের জন্য যে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে, এর ফলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে৷ নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রেলমন্ত্রক৷
করোনা পরিস্থিতির আগে মোটামুটি ১,৭০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চালাত রেল৷ কিন্ত্ত করোনা সংক্রমণ বড় আকার নেওয়ার পরেই অধিকাংশ ট্রেন চালানো বন্ধ হয়ে যায়৷ সেগুলির প্রায় সবই এখন চালু হয়ে গিয়েছে৷ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময়ে রেল অনেক ট্রেনকে কোভিডের বিধি মেনে স্পেশাল নাম দিয়ে চালিয়েছিল৷ ট্রেনে যাতে ভিড় বেশি না হয় সেটাই ছিল লক্ষ্য৷ ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ ট্রেনের স্পেশাল তকমা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ বাকি ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেও পুরনো ভাড়া চালুর সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে৷ খুব তাড়াতাডি় তা কার্যকর হবে৷’
অতি মহামারীর সময় সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল৷ দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসই হোক কিংবা প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ‘স্পেশাল’ হিসেবে সেগুলি ধাপে ধাপে চালানো শুরু হয়৷ ফলে ফারাক হয়ে যায় যাত্রীভাড়ায়৷ আগে যেখানে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া ছিল ১০ টাকা, তা এক ধাক্কায় ২০ টাকা বেডে় যায়৷ নতুন ভাড়া হয় ৩০ টাকা৷ কিন্ত্ত এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও সেই বর্ধিত ভাড়া কমার নাম নেই৷ যাত্রীদের অভিযোগ, তিনগুণ বেশি ভাড়ার গুনতে হচ্ছে দু’বছর পরও৷ যাত্রীরা বলছেন, করোনা পেরিয়ে কালে স্পেশাল তকমা দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে রেল৷ এখন করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে রেলও পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ তবে এখনও অনেক ট্রেনই স্পেশাল হিসেবেই চলছে৷
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, ‘এই সব স্পেশাল ট্রেনে সফরের জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে৷ মন্ত্রক ঠিক করেছে খুব তাড়াতাডি় এই ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে৷’