• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়িতে সিবিআই হানা

দিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি: মোদী সরকারের সমালোচনা করায় এবার প্রাক্তন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। আজ, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রকল্প মামলায় তাঁর বাসস্থানের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। উঠছে প্রতিহিংসার অভিযোগ। প্রসঙ্গত

দিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি: মোদী সরকারের সমালোচনা করায় এবার প্রাক্তন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। আজ, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রকল্প মামলায় তাঁর বাসস্থানের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। উঠছে প্রতিহিংসার অভিযোগ।

প্রসঙ্গত প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকার সেনাদের মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করে ক্ষমতায় এসেছে। সত্যপাল দাবি করেন, তিনি যখন পুলওয়ামা হামলার তদন্ত চেয়েছিলেন, তখন তাঁকে চুপ থাকতে বলা হয়েছিল।
গতকাল বুধবার, পাঞ্জাবের খানাউরী সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনায়ও মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন সত্যপাল। আর ঠিক তার পরের দিন সিবিআই হানার ঘটনায় রাজনৈতিক যোগসূত্রের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। মালিক এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি এসব অভিযানে একদম ভীত নন। তিনি ফের আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন।

আজ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেন,”আমি গত তিন চার দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। তা সত্ত্বেও এই স্বৈরতান্ত্রিক শাসক আমার বাড়িতে সরকারি এজেন্সী দিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এমনকি আমার গাড়ির চালক ও সহকারীকেও তদন্তের নামে অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি একজন কৃষকের ছেলে। আমি এইসব অভিযানে একদম ভীত নই। আমি কৃষকদের সঙ্গে আছি।”

উল্লেখ্য, হাইডেল প্রকল্পটি ২,২০০ কোটি টাকার কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রকল্পের চুক্তি প্রদানে কথিত দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সত্যপাল মালিক ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল অবধি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন। সেই সময় এই প্রকল্পের ফাইল পাশ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। মালিক বলেন, এর আগে গত মাসেই এই অভিযোগে দিল্লি, জম্মু এবং কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় সিবিআই তদন্ত শুরু করে।