ইম্ফল, ১৬ ফেব্রুয়ারি– একের পর এক অশান্তিতে জেরবার মণিপুর৷ এবার জেলা পুলিশের সদর দফতরকে নিশানা বানাল জঙ্গীরা৷ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত তিন জনের মৃতু্য হয়েছে৷ আহত কমপক্ষে তিরিশ জন৷ জেলা পুলিশের সদর দফতরে শুধু হামলার ঘটনাই ঘটেনি দফতরের সামনে রাখা একাধিক গাডি়তেও হামলা চালান হয়৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাডি়তে৷ পুলিশ সুপারের দফতরে মোতায়েন র্যাফ জওয়ানদের নিশানা করে লাগাতার ইটবৃষ্টি করা হয়৷
বৃহস্পতিবার রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ জেলাশাসকের কার্যালয়ও বাদ যায়নি হিংসা থেকে৷ ভাঙচুর, গাডি়তে আগুন লাগানো, পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার এই ঘটনায় ফের মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল৷
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই জেলা পুলিশের এক হেড কনস্টেবলকে সশস্ত্র কয়েকজনের সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গেছিল৷ তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়৷ মণিপুর পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল একসঙ্গে হামলা করেছে পুলিশের দফতরে৷ লাগাতার ইট ছোড়া হয়৷ পুলিশ সুপারের দফতরে মোতায়েন র্যাফ জওয়ানদের নিশানা করা হয়েছিল৷ ২০২২ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে৷ তারপর থেকে বেশ কয়েক দফায় অশান্ত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য৷ গত জানুয়ারি মাসেই রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরের সীমান্ত এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে৷ সেই সময়ে একজন পুলিশ কমান্ডোর মৃতু্য হয়েছিল৷
উল্লেখ্য, গত একবছর ধরে চলতে থাকা মেইতি-কুইকিদের সংঘর্ষে রীতিমতো জতুগৃহের আকার ধারণ করেছে মণিপুর৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে রাজ্য ছেড়ে বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয় পাশের রাজ্যগুলিতে৷