• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আর্থিক তছরুপ মামলায় দেবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল ইডি 

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি – আর্থিক তছরুপ মামলায় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সমস্ত নথি নিয়ে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ২১ তারিখ দেব ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন। দেবের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানানো হয়, তদন্তে সহযোগিতা করতে যত বার ডেকে পাঠানো হবে,

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি – আর্থিক তছরুপ মামলায় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সমস্ত নথি নিয়ে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ২১ তারিখ দেব ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন। দেবের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানানো হয়, তদন্তে সহযোগিতা করতে যত বার ডেকে পাঠানো হবে, তত বারই যাবেন দেব। 

দেব ফের লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। তিনি দল ছেড়ে দেবেন এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু দিন  আগে ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। এর পরেই দেবের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জল্পনা জোরালো হয়। মমতা যদিও জানুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, দেবই ঘাটালের প্রার্থী হতে চলেছেন। 
লোকসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন দেবের একটি পোস্ট জল্পনা আরও উস্কে দেয়। তিনি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘সংসদে আমার শেষ দিন।” এতে অনেকেরই  মনে হয়, ঘাটাল থেকে লোকসভায় দেব আর দাঁড়াতে চাইছেন না। যদিও এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি দেব। এর মধ্যেই তৃণমূলনেত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। তবে মমতা বা অভিষেকের সঙ্গে দেবের কী আলোচনা হয়েছে, তা কারও তরফেই প্রকাশ করা হয়নি।  কেউই সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে দেব বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিকে ছাড়লেও রাজনীতি তাঁকে ছাড়বে না।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবকে নিয়েই হেলিকপ্টারে পাণ্ডুয়া যান। সেখানে প্রকাশ্য মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দেবের কথা মেনেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছেন। এভাবেই কিছুটা স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিকে তৃণমূলের টিকিটে ফের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হতে তিনি রাজি, দেবের তরফে এমন ইঙ্গিত মিলতেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওইদিন সন্ধ্যায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সন্দেশখালির প্রতিবাদীদের সমর্থনে মিছিল শেষে সাংবাদিকরা দেবকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইডি আর সিবিআই অফিসের বিষয়টা কিন্তু মিটে যায়নি।’ সেই বক্তব্যের পরই দেব ওরফে দীপক অধিকারীকে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হল।  
এর আগে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে দেবকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেবার তিনি কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন।  ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেবকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দেব জানিয়েছিলেন, ‘‘একজন ব্যক্তিকে চিনি কি না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমার বক্তব্য জানিয়েছি। মনে হয় আর ডাকবে না।’’
২০২৩ সালে দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ। তাঁর অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। দেব তার পাল্টা জবাবে বলেন তথ্যপ্রমাণ থাকলে ইডি বা সিবিআইয়ের কাছে যান হিরণ।

ইডি সূত্রে খবর, এবার দেবকে আর্থিক তছরুপ মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।